দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ পাকিস্তানে আবারও লাশের মিছিল। এক আত্মঘাতী বোমা হামলায় কোয়েটায় মারা গেছে কমপক্ষে ১০২ জন। সারাদেশে একদিনে মারা গেছে কমপক্ষে ১৪০ জন। বেলুচিস্তানে তিনদিনের শোক ঘোষণা করেছে পাকিস্তান সরকার।
বৃহস্পতিবার বেলুচিস্তানের রাজধানী কোয়েটার এক স্নুকারক্লাবে আত্মঘাতী গাড়ি বোমাহামলায় কমপক্ষে ১০২ জন নিহত এবং ১২০ জন আহত হয়েছে বলে বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে। এলাকাটি শিয়া অধ্যুষিত। স্নুকারক্লাবে যারা ছিলেন তাদের প্রায় সবাই শিয়া মুসলমান। ধারণা করা হচ্ছিল হামলার পেছনে কোনো সুন্নি উগ্রপন্থী সংগঠন থাকতে পারে। পরে জানা যায় হামলা চালিয়েছে লস্কর-ই-জাংভি নামের একটি সংগঠন।
স্থানীয় এক সংবাদপত্রের কার্যালয়ে ফোন করে ওই সংগঠনটি হামলার দায়িত্ব স্বীকার করেছে। পাকিস্তানের জনসংখ্যা ১৮ কোটির মতো। মোট জনসংখ্যার শতকরা ২০ ভাগ শিয়া। পাকিস্তানে তাদের ওপর এমন হামলা অবশ্য নতুন কিছু নয়। তবে এক হামলায় এত প্রাণহানির ঘটনা খুব কমই ঘটেছে। ১০ জানুয়ারি দিনটি সামপ্রতিক সময়ের মধ্যে খুব ভয়াবহ একটি দিন ছিল পাকিস্তানের জন্য। কোয়েটার স্নুকারক্লাবে দু-দুটো আত্মঘাতী হামলার ওই ঘটনার বাইরে আরও কিছু হামলা হয়। কেয়েটাতেই সামরিক বাহিনীর গাড়ির নীচে পেতে রাখা বোমা বিস্ফোরণে মারা গেছেন ১১ জন। এছাড়া, সোয়াত উপত্যকায় মুসল্লিদের এক জমায়েতে চালানো বোমা হামলায় ২২ জন মারা গেছে বলে খবর। সব মিলিয়ে একদিনেই কমপক্ষে এ পর্যন্ত ১৪০ জন মারা গেছে পাকিস্তানে।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালের ১৩ মে ভয়াবহ এক বোমা হামলায় পুলিশের এক প্রশিক্ষণকেন্দ্রের সামনে মারা গিয়েছিল ৯৮ জন। ১০ জানুয়ারি অবশ্য পাকিস্তানের মানুষকে তার চেয়েও বড় লাশের মিছিল দেখতে হলো।