দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমরা অসুখ-বিসুখ হলে ডালিম খেয়ে থাকি। কিন্তু এই ডালিমে কি গুণাগুণ রয়েছে সে কথা জানিনা। বিশেষ করে যারা ডায়েট কন্ট্রোল করতে চান তাদের জন্য ডালিম হতে পারে এক নিয়ামক উৎস।
ডালিম আমরা শুধুই অসুখ হলে খেয়ে থাকি। কিন্তু এটি অন্য সময়েও আমাদের খাওয়া উচিত। বিশেষ করে যাদের ডায়েট কন্ট্রোল করা জরুরি তারা এটিকে একটি ওষুধ হিসেবেই ব্যবহার করতে পারেন। এর কারণ হলো ক্ষুধার অনুভূতি কমে গিয়ে ক্ষুধার জ্বালা সহনীয় পর্যায়ে চলে আসে আর তাছাড়া ডালিমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রতিরোধক অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। এটি খুবই উপকার করে ডায়েট কন্ট্রোলারদের।
আসুন জেনে নিই কি কি উপকার করে এটি
সাম্প্রতিক গবেষণায় এমন তথ্য বেরিয়ে এসেছে। গবেষকরা জানান:
# ডালিম খেলে ক্ষুধার অনুভূতি কমে।
# ক্ষুধার জ্বালা সহনীয় পর্যায়ে চলে আসে।
# নিয়মিত ডালিম বা তার উপাদান খেলে ক্ষুধা কম লাগে।
# খাবাবের চাহিদা হ্রাস পাবে।
বৈজ্ঞানিক গবেষণায়ও প্রমাণিত হয়েছে যে, ডালিমে রোগ প্রতিরোধক অ্যান্টি অক্সিডেন্ট প্রচুর পরিমাণে রয়েছে। নতুন এক গবেষণায় দেখা গেছে, ৩ সপ্তাহ নিয়মিত ডালিম খেলে অন্যদের তুলনায় অপেক্ষাকৃত কম ক্ষুধা লাগে।
গবেষণার নমুনায়নে দেখা যায়, যারা নিয়মিত ডালিমের উপাদান গ্রহণ করেছে, তারা সামনে থাকা ভাতের প্লেটের গড়ে মাত্র ২২ শতাংশ খেয়েছে। তবে তারা সেটুকু পূর্ণ তৃপ্তি সহকারেই খেয়েছে।
এডিনবার্গের কুইন মার্গারেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৯ জন স্বেচ্ছাসেবী এই গবেষণায় অংশ নেয়। তাদের অর্ধেক সংখ্যক ৩ সপ্তাহ নিয়মিত ডালিমের নির্যাস খেয়েছে। আর অন্যরা তা খায়নি। গবেষণায় পাওয়া গেছে, আবার যারা ডালিম খেয়েছে তাদের ক্ষুধার পরিমাণ অন্যদের চেয়ে ১২ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।
তাই গবেষকরা বলছেন, যারা ডায়েট কন্ট্রোল করতে চান তারা নিয়মিত ডালিম খেতে পারেন। এতে তাদের ডায়েট কন্ট্রোলে বেশ উপকারে আসবে।