দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আজ থেকে মোবাইল ব্যবহারকারীদের ১ পয়সা হারে খরচ বাড়ছে। মোবাইলে খরচ বাড়ছে আজ থেকে ‘উন্নয়ন সারচার্জ’ নামে এই কর বসানো হচ্ছে, যা আজ সোমবার থেকে কার্যকর হবে।
নির্ধারিত করের সঙ্গে সেবার বিনিময়ে প্রাপ্ত মূল্যের ওপর ১ শতাংশ হারে সারচার্জ দিতে হবে প্রকৃতপক্ষে অপারেটরদের। কাগজে-কলমে সারচার্জ অপারেটরদের কাছ থেকে সংগ্রহের কথা বলা হলেও বাস্তবে ঘটছে উল্টো ঘটনা। এই অতিরিক্ত করের বোঝা বহন করতে হবে মোবাইল ফোনের গ্রাহকদেরই! ফলে কলরেট না বাড়লেও আজ ১ সেপ্টেম্বর সোমবার থেকে কথোপকথনের ব্যয় বাড়বে মোবাইল ব্যবহারকারীদের। এই সারচার্জ বাবদ বছরে প্রায় ২৫০ কোটি টাকা অতিরিক্ত আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড।
মোবাইল অপারেটরদের ওপর আরোপিত কর কেনো ব্যবহারকারীদের দিতে হবে সেটিই দেখার বিষয়। এ বিষয়ে গ্রামীন ফোনের কাস্টমার কেয়ারে প্রশ্ন করা হলে তারা বিষয়টি এড়িয়ে যান্ এবং বলেন, এ বিষয়ে তাদের উর্ধতন কর্তৃপক্ষ রয়েছে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
জানানো হয়েছে, মোবাইল অপারেটরদের সিমকার্ড অথবা রিমকার্ড বা অন্য যে কোনো মাইক্রো চিপ ব্যবহারের মাধ্যমে সেবার বিনিময়ে প্রাপ্ত সমুদয় মূল্যের ওপর ১ শতাংশ হারেেএই ‘উন্নয়ন সারচার্জ’ আরোপিত হবে। মূল্য সংযোজন কর যে পদ্ধতিতে আদায় করা হয়ে থাকে ঠিক একই একই পদ্ধতিতে সারচার্জ আদায় করা হবে।
গত বাজেটে সিমকার্ড প্রতিস্থাপনের ক্ষেত্রে ১০০ টাকা করারোপ করা হয়েছে। এই প্রতিস্থাপন খাত হতে ৮০ কোটি টাকা আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে। অপরদিকে মোবাইল সেট আমদানি এবং স্থানীয় পর্যায়ে উৎপাদন পর্যায়ে মূল্যভিত্তির ওপর ১ শতাংশ হারে তথ্য এবং যোগাযোগ প্রযুক্তি উন্নয়ন সারচার্জ আরোপ করা হয়। এখান হতেও ৩৮ কোটি টাকা আদায় করা হবে। আবার তারসঙ্গে যোগ হচ্ছে মোবাইলসেবা গ্রহণের ওপর ১ শতাংশ হারে সারচার্জ।
বিপুল সম্ভাবনাময় এই খাতের ওপর নতুন করে করারোপ করার কারণে বিনিয়োগ এবং প্রবৃদ্ধির ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। অথচ সরকারের কোষাগারে সবচেয়ে বেশি অবদান রাখছে এই মোবাইল খাত। তাই এর সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা মনে করেন সরকারকে এ বিষয়ে বিবেচনায় আনতে হবে। তা নাহলে বাংলাদেশে এই মোবাইল প্রযুক্তি বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে যতখানি এগিয়ে গেছে তা আবারও পিছিয়ে পড়বে।
উল্লেখ্য, বর্তমানে দেশে মোবাইল ফোনের গ্রাহকসংখ্যা ১১ কোটির মতো। বাংলাদেশ খুব কম সময়ে এই শিল্প এগিয়ে গেছে।