দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ গাভী দুধ দেয় এটিই স্বাভাবিক ঘটনা। কিন্তু এবার একটু ব্যতিক্রমি খবর হলো এবার বাছুর দুধ দিচ্ছে। ঘটনাটি ঘটেছে দিনাজপুর জেলার চিরিরবন্দর উপজেলার পুনট্টি গ্রামে।
বাছুর দুধ দেওয়ার ঘটনাটিকে প্রকৃতির খেয়াল বলেই ধরে নেওয়া হচ্ছে। ব্যাপারটি অবিশ্বাস্য মনে হলেও সত্যি। চিরিরবন্দরের পুনট্টি গ্রামের মোসাদ্দেক হোসেন খোকনের ডেইরি ফার্মের একটি বাছুর গাভীর ন্যায় দুধ দিচ্ছে।
সংবাদ মাধ্যমে প্রাপ্ত খবরে জানা যায়, খোকনের ফার্মে মাস দশেক আগে একটি বকনা বাছুরের জন্ম হয়। স্বাভাবিক নিয়মে বাছুর জন্মদানকারি গাভীটি নিয়মিত দুধ দিচ্ছিল। এভাবে ওই বাছুরটি প্রায় দশ মাসে বেশ নাদুস-নুদুস হয়ে ওঠে। কিন্তু যখন দশ মাস বয়সের বাছুরটিও মায়ের মতো দুগ্ধবতী হয়ে ওঠে, সবাই অবাক হয় যখন দেখা যায়।
মালিক খোকন সংবাদ মাধ্যমকে জানান, বাছুরটির বয়স যখন ৬ মাস তখন থেকেই ওলানের প্রশস্ততা বাড়তে থাকে অস্বাভাবিকভাবে। এক পর্যায় একটি বাট দিয়ে পুঁজের মতো গাঢ় দুধও বের হতে থাকে। পশু ডাক্তারের পরামর্শ নিলে, ডাক্তার কোনো চিকিৎসা না দিয়ে দৈনিক দুধ দোহনের পরামর্শ দেন। এরপর পর্যায়ক্রমে ৪টি বাট দিয়েই স্বাভাবিক দুধ বের হতে থাকে। ওই দুধ চিরিরবন্দর মিল্কভিটা দুগ্ধ এবং শীতলীকরণ কেন্দ্রে পরীক্ষা করা হয়। তবে কর্তৃপক্ষ স্বাভাবিক দুধ বলেই জানায়।
খোকন আরও জানান, প্রথমে দৈনিক আধা লিটার দুধ দিলেও আস্তে আস্তে দুধের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমানে ২ হতে আড়াই লিটার পর্যন্ত দুধ দিচ্ছে ওই বাছুরটি।
বিষটি নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে বেশ চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। অলৌকিক দুধ দেওয়া বাছুরটিকে দেখতে প্রতিদিন শতশত মানুষ আসছে খোকন মিয়ার ফার্মে ভিড় জমাচ্ছেন। অনেক আলেম-ওলামারা বলেছেন, এটি অলৌকিক ঘটনা। আবার হিন্দু সম্প্রদায়ের অনেকেই এ ধরনের গাভীকে সাধারণত ‘কামধেনু’ বলা হয়ে থাকে বলে মন্তব্য করেছেন।