দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ জামায়াতকে তৃণমূলের অর্থায়ন নিয়ে ভারত-বাংলাদেশে তোলপাড় শুরু হয়েছে। গতকাল ভারতের খ্যাতিমান পত্রিকা আনন্দবাজার পত্রিকায় প্রকাশিত একটি রিপোর্ট নিয়ে এই তোলপাড় শুরু হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তৃণমূল নেত্রী মমমাও বেশ বেকায়দায় আছেন।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির সঙ্গে বাংলাদেশের জামায়াতে ইসলামীর সম্পৃক্ততার অভিযোগ তুলেছেন বিজেপির সিনিয়র নেতা সিদ্ধার্থ নাথ সিং। গতকাল আনন্দবাজার পত্রিকায় এ সংক্রান্ত একটি সংবাদ প্রকাশ হলে হুলুস্থুল পড়ে যায়। গতকাল ভারত ও বাংলাদেশের মিডিয়াগুলোর মূল বিষয় ছিল তৃণমূলের বাংলাদেশের জামায়াতকে সহায়তা করার বিষয়টি। বিজেপির সিনিয়র নেতা সিদ্ধার্থ নাথ সিং সাংবাদিকদের বলেন, ‘সারদা দুর্নীতির টাকা দিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি বাংলাদেশের জামায়াতে ইসলামীর অর্থায়ন করেছেন। এর পরিবর্তে বাংলার ভোটারদের ওপর তাদের প্রভাব ব্যবহার করে নির্বাচনে জিততে সহায়তা করেছেন তারা।’ সিদ্ধার্থ আরও বলেছেন, ‘বাংলাদেশ ও ভারতের কয়েকটি সংবাদপত্র এ ইস্যুতে প্রতিবেদন করেছে। একটি বাংলাদেশী পত্রিকার উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি জামায়াতের সঙ্গে মমতার সম্পৃক্ততার অভিযোগ তোলেন।’ এ খবর দিয়েছে ভারতের প্রভাবশালী পত্রিকা দ্য হিন্দু।
সিদ্ধার্থ নাথ সিং আরও বলেন, ‘এতে করে পরিষ্কার হয় কিভাবে সারদা গ্রুপের অর্থ ব্যাগে ভরে বাংলাদেশে পাচার করা হয়েছে এবং নবনির্বাচিত তৃণমূল কংগ্রেস এমপি আহমেদ হাসান ইমরানকে দিয়ে বিএসএফের কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রিত হয়েছে।’ সংবাদপত্রের প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি আরও বলেছেন, ‘সারদা গ্রুপের সাথে মমতার সম্পর্ক অনেক পুরনো। ২০১০ সালে যখন তিনি রেলমন্ত্রী ছিলেন তখন থেকেই এই সম্পর্ক। ওই অর্থ ব্যবহার করে তিনি ২০১১ সালের বিধানসভা নির্বাচন এবং ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে জিতেছেন।’ তিনি বলেন, ‘মমতা ব্যানার্জি যদি নিরপরাধ হতেন তাহলে অবশ্যই তিনি এসব কথা অস্বীকার করতেন আর মিডিয়া হাউজগুলোর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করতেন।’ তবে তৃণমূল এমপি হাসান এসব অস্বীকার করে বলেন, ‘তার সঙ্গে ওই প্রতিষ্ঠানের কোন যোগসূত্রই নেই। এছাড়াও তিনি বিজেপি নেতা সিদ্ধার্থ নাথ সিংয়ের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।’
এমন এক পরিস্থিতে গতকাল বাংলাদেশের মিডিয়াগুলোতে ব্যাপকভাবে আলোচনা হয়। এসব আলোচনায় উঠে আসে, জামায়াতে ইসলামী ও হেফাজতের কর্মকাণ্ড। জামায়াতের অর্থের উৎস্য ও নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে গতকাল। তবে বিষয়টি নিয়ে তদন্তের দাবি তুলেছেন এদেশের সচেতন নাগরিক।
উল্লেখ্য, ভারতের বিগত সরকার ক্ষমতায় থাকার সময় তিস্তার পানি চুক্তিসহ বেশ কিছু বিষয় মীমাংসার পর্যায়ে চলে আসলেও পশ্চিম বঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি আপত্তি তোলেন। বর্তমান পরিস্থিতিতে এইসব বিষয়গুলো সামনে উঠে আসছে।