দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ঘড়ি আবিষ্কারের পর থেকে মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় একটি অনুষঙ্গ হয়ে দাঁড়িয়েছিল এই হাতঘড়ি। বর্তমান প্রযুক্তির এই সময়টায় সেলফোনের ব্যবহারের কারণে ঘড়ির প্রয়োজনীয়তা কমে আসলেও এখনো আভিজাত্য কিংবা ফ্যাশনের একটি বড় ধারক কিংবা বাহক হলো হাতঘড়ি। আজ আমরা দি ঢাকা টাইমসের পাঠকদের জন্য তুলে ধরবো বিশ্বের দামী কিছু হাতঘড়ির কথা।
১। কোপার্ড ২০১
কোপার্ড ২০১ হলো একটি ডায়মন্ডের ঘড়ি। যেখানে ডায়মন্ডের পরিমাণ প্রায় ২০১ ক্যারট। এটি বিশ্বের সবচেয়ে দামী ঘড়ির খেতাব জিতে নিয়েছে। এই ঘড়িটির মূল্য প্রায় ২৫ মিলিয়ন ডলার। এই ঘড়িটিতে রয়েছে ১৫ ক্যারট গোলাপি ডায়মন্ড, ১১ ক্যারট সাদা ডায়মন্ড। এছাড়া বাকী অংশটি হলুদ ডায়মন্ডের তৈরি।
২। পাটেক ফিলিপ সুপার কমপ্লিকেশন
১৮ ক্যারটের স্বর্নের তৈরি পাটেক ফিলিপের এই ঘড়িটি বিশ্বের সবচাইতে জটিল ঘড়ি। এটি কিন্তু হাতঘড়ি নয় এটি একটি পকেট ঘড়ি। এর আভিজাত্যময় লুকিং এর কারণে এটি এক সময় বেশ মর্যাদাপুর্ন মানুষদের প্রতীক হিসেবে দাঁড়িয়েছিল। এর ঘড়িটি নির্মাণ করতে নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের লেগেছে প্রায় ৫ বছর। এর মূল্য ১১ মিলিয়ন ডলার।
৩। পাটেক ফিলিপ ১৫২৭
এই ঘড়িটিও পাটেক ফিলিপের তৈরি। এটি তৈরিতে তারা ব্যবহার করেছেন প্রায় ১৮ ক্যারেট স্বর্ন আর রুপা। ঘড়িটি ফাংশনাল কাজের জন্য বেশ জনপ্রিয়তা পেয়ে যায়। এই ঘড়িটির মূল্য ৫.৬ মিলিয়ন ডলার।
৪। হাবলেট ডায়মন্ড
১৮ ক্যারটের সাদা স্বর্ন আর ১২০০ ডায়মন্ডের তৈরি এই ঘড়িটিকে বলা হয় বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর ঘড়ি। এই ঘড়িটির মূল্য ৫ মিলিয়ন ডলার।
৫। লুইস মইনেট মেটেওরিস
এই ঘড়িটিকে বলা হয় স্পেস ওয়াচ বা মহাজাগতিক ঘড়ি। এই ঘড়ি তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছে অ্যাস্টেরোয়েড এবং মেটেরয়েড। এগুলো মূলত আকাশ থেকে পৃথিবীর বুকে পতিত হয়। এই ঘড়িটির দাম ৪.৬ মিলিয়ন ডলার।
৬। প্লাটিনাম ওয়ার্ল্ড টাইম
পাটেক ফিলিপের তৈরি এই ঘড়িটি নির্মানে ব্যবহার করা হয়েছে প্লাটিনাম। এই ঘড়িটির বিশেষত্ব হলো চাঁদের বুকে নামার সময় নীল আম্রস্ট্রং এই ঘড়িটি পরা ছিলেন। ঘড়িটির দাম ৪.০৩ মিলিয়ন ডলার।
৭। পাটেক ফিলিপ ১৯২৮
নান্দনিক এই ঘড়িটি নির্মানে ব্যবহার করা হয়েছে ১৮ ক্যারটের পিউর হোয়াইট গোল্ড। এর বাজারমূল্য ৩.৬ মিলিয়ন ডলার।