দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ঈদ এলেই বাস মালিকদের নানা কারসাজি শুরু হয়। ঈদে বাড়তি টাকা আদায়ের কাহিনী বহু পুরোনো বিষয়। তবে এবার আরও কাণ্ড ঘটলো কোনো তারিখ না দিয়ে যেমন খুশি তেমনভাবে টিকেট বিক্রির ক্ষেত্রে। বাস মালিকদের কোনো নিয়মনীতি ছিলনা এবার। আর তাই ঈদের টিকেট নিয়ে ঘটেছে যতো কাণ্ড!
প্রতিবছর টিকিট বিক্রির ক্ষেত্রে বাস মালিকরা একটি নির্ধারিত তারিখ দেন। সেই তারিখে গিয়েও অনেকেই টিকিট পান না। তবে নির্ধারিত তারিখে গেলে কিছু টিকিট কাটা যেতো। কিন্তু এবার কোনো তারিখ ছাড়াই ঈদের এক মাস বাকি থাকতেই টিকিট বিক্রি শুরু করেছেন অনেক বাস মালিক। কল্যাণপুর ও গাবতলির অনেক কাউণ্টারে গিয়ে দেখা গেছে, কোনো টিকেট নেই। আগেই বিক্রি হয়ে গেছে সব টিকেট। মালিক অথবা কাউন্টারের লোকদের সঙ্গে যাদের পরিচয় বা আত্মিয়তা রয়েছে কেবল তারাই পেয়েছেন এসব টিকেট। মালিকরা ঈদের টিকেট বিক্রির ক্ষেত্রে কোনো নিয়মনীতিই মানছেন না। কাউন্টার খুলে বসে সারাবছর টিকেট বিক্রি করেন, অথচ এখন ঈদের সময় সাধারণ যাত্রীরা কোনো টিকিটই পাচ্ছেন না এমনটি হতে পারে না।
ঢাকায় বসবাসরত একজনের সঙ্গে কল্যাণপুরে আলাপ হয়। তিনি জানালেন, আমি বহুবার ফোন করেছি পাবনার একটি কাউন্টারে টিকিটের জন্য। কিন্তু কোন তারিখ দেওয়া হয়নি। বলা হয়েছে, শীঘ্রই টিকিট ছাড়া হবে। প্রায় প্রতিদিনই আমি ফোন করেছি। আজ ১৮ তারিখ সন্ধ্যায় কাউন্টারে এসে দেখলাম সব টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে। পরে জানতে পারলাম মালিক ও কাউন্টারের লোকদের সঙ্গে যাদের পরিচয় আছে তারাই পেয়েছেন এসব টিকিট। তাহলে যাদের পরিচিত কেও নেই তারা কি বাড়ি যেতে পারবেন না?
উপরোক্ত প্রশ্নটি আমাদেরও। আগ ৫/৭ বছর আগে দেখা গেছে, বাস মালিকরা একটি নির্দিষ্ট তারিখ দিতেন। সেই তারিখ অনুযায়ী টিকিট বিক্রি হতো। হয়তো তখনও মালিকরা তাদের পরিচিতদের কিছু টিকিট দিতেন। তবে সাধারণ যাত্রীরাও কিছু টিকিট পেতেন। কিন্তু এখন সেসব নিয়ম উবে গেছে। এখন শুধুই মালিক ও তার কর্মচারিদের পরিচিতরাই বাড়ি যাওয়ার টিকিট পাবেন।
এ বিষয়ে সরকারি কোনো নীতিমালাও নেই। তাছাড়া নীতিমালার মধ্যে আনলেও দেখা যাবে মালিকরা কম্পিউটার থেকে তারিখ লিখে প্রিন্ট করে টাঙ্গিয়ে রাখবেন। বাস্তবে টিকিট বাইরের কেও কোনদিন পাবেন না। বিষয়গুলো তদন্ত করে মালিকদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।