দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ স্বাধীনতা সবাই চাই। কিন্তু এবার একটু ব্যতিক্রমি ঘটনা দেখা গেলো স্কটল্যান্ডে। তারা ইংল্যান্ডের সঙ্গেই থাকবে নাকি পৃথক রাষ্ট্র হবে সেজন্যই আয়োজন করা হয় ‘হাঁ’ ‘না’ ভোটের। কিন্তু স্কটিশদের ‘না’ ভোট দিয়ে ইংল্যান্ডেই থাকতে মত দিয়েছেন।
সারাবিশ্বেই স্বাধীনতার জন্য মরিয়া হয়ে আছে এমন দেশের অভাব নেই। যুগ যুগ ধরে ভারতের কাশ্মীর ইস্যু চলে আসছে। কাশ্মীরিরা দাবি করে আসছে স্বাধীন রাষ্ট্রের। এজন্য পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের দীর্ঘদিন ধরে চলছে মনোমালিন্য। এমনিভাবে আরও বহু রাষ্ট্র স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করছে দীর্ঘদিন ধরে। প্যালেস্টাইনের স্বাধীনতা যুদ্ধের কথাও কারও অজানা নয়। কিভাবে তারা ইয়াসির আরাফাতের নেতৃত্বে স্বাধীনতা অর্জন করেছিলেন তাও আমাদের জানা। কিন্তু এবার একটু ব্যতিক্রমি ঘটনা দেখা গেলো। স্কটিশদের মধ্যে কেও কেও স্বাধীনতার পক্ষে ছিলেন বটে। কিন্তু তারজন্য যুদ্ধে নামতে হয়নি। বিরোধী একটি শক্তি সব সময় স্বাধীনতা দাবি করে আসছে। আর তাই ইংল্যান্ড এটিকে কোনো মারাদাঙ্গা ইস্যু না করে গণভোটের ব্যবস্থা করেছেন। ভোটের মাধ্যমে নির্ধারণ করা হবে স্কটিশরা ইংল্যান্ডের সঙ্গে থাকবেন নাকি স্বাধীন হবেন। কিন্তু ভোটে দেখা গেলো অধিকাংশ স্কটিশরাই ‘না’ ভোট দিয়েছেন। অর্থাৎ তারা ইংল্যান্ডের সঙ্গেই থাকতে চান।
স্কটল্যান্ড ও ইংল্যান্ডের বর্ডার পয়েন্ট
বিশ্লেষকরা বলছেন, এর মূল কারণ হলো স্কটল্যান্ডে তেমন কোনো সম্পদ নেই। একমাত্র ইংল্যান্ডের উপর ভিত্তি করেই চলে দেশটি। এমন অবস্থায় স্বাধীন হলে চরম এক বিপর্যয়ের মুখোমুখি হবে নতুন রাষ্ট্র হিসেবে। আর তাই সেদেশের সচেতন নাগরিকরা চান না ইংল্যান্ড থেকে আলাদা হতে।
নির্বাচনের পর স্কটল্যান্ডের ফার্স্ট মিনিস্টার অ্যালেক্স স্যামন্ড সরকারিভাবে ফলাফল ঘোষণা করেছেন। আর তাতে দেখা যাচ্ছে, বেশিরভাগ স্কটিশরা ‘না’ ভোট দিয়েছেন। স্কটল্যান্ডের নাগরিকদের এই ফল মেনে নেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন মি: স্যামন্ড।
উল্লেখ্য, গতকাল বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত এই গণভোটে ৫৫ শতাংশ জনগণ স্বাধীনতার বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন। আর ৪৫ শতাংশ জনগণ স্বাধীনতার পক্ষে ভোট দিয়েছেন।