দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ফেসবুক ব্যবহারকারীরা তাদের সঙ্গী বা সঙ্গিনীর উপর ফেসবুকে নজরদারি করতে পছন্দ করে। সাম্প্রতিক একটি গবেষণার মাধ্যমে এই তথ্যগুলো ফুটে উঠেছে। গবেষকরা এটিকে নজরদারি না বলে বলছেন ভার্চুয়াল টেক কেয়ার। কেননা এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটিতে সঙ্গী বা সঙ্গিনীরা তাদের একে অপরের ভালোবাসা প্রকাশ করতে পছন্দ করেন।
গবেষণায় দেখা যায় যে বেশিরভাগ সঙ্গী বা সঙ্গিনীরা একে অপরের ফেসবুক ওয়ালে ছবি কিংবা স্ট্যাটাস প্রকাশ করে থাকে। তাছাড়া তারা খোলাখুলিভাবেই তাদের কমেন্ট বক্সে কমেন্টের মাধ্যমে ভালবাসার গভীরতা প্রকাশ করতে চায়। গবেষকরা বলছে ফেসবুক ক্রমাগতভাবে এই ধরনের লাভ বার্ডদের এমন প্রক্রিয়ার দিকে নিয়ে যাচ্ছে যা কিছু কিছু ক্ষেত্রে ব্যবহারকারীদের উপর একে অপরের মাধ্যমে নজরদারির সমতুল্য। এর ফলে ব্যবহারকারীদের একে অপরের নিজস্বতা বলে যে বিষয়টি রয়েছে তা অনেকক্ষেত্রেই ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। ফেসবুক সর্বদাই লাভবার্ডদের তাদের এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আরো ভার্চুয়াল কাছাকাছি থাকার বিষয়ে সুবিধা দিয়ে থাকে। এই গবেষণার অন্যতম গবেষক গোয়েদিন সিডমান বলেন, এই পরীক্ষা থেকে বোঝা যায় যে সঙ্গী বা সঙ্গিনীরা তাদের রিলেশনশিপটি ঠিক আছে কিনা সেই নিশ্চয়তা পাওয়ার আশায় ভার্চুয়ালি আরো কাছাকাছি থাকার চেষ্টা করে।
গবেষকরা রোমান্টিক রিলেশনে রয়েছেন এমন কিছু ব্যক্তিদের এই গবেষণার সাথে যুক্ত করেন এবং তাদের উপর জরিপ চালান। জরিপে তাদের ভার্চুয়াল আচরণগত এবং মোটিভেশনগত বিষয়টির উপর প্রাধান্য দেওয়া হয়। এছাড়াও গবেষকরা এই ক্ষেত্রে পাঁচটি ফ্যাক্টরকে নির্ধারণ করেন আর তা হলো- উদারতা, সচেতনতা, বহির্মুখিতা, সমঝোতা এবং নিরপেক্ষতা। গবেষকরা আরো দেখতে পান যে, বেশিরভাগ সঙ্গী বা সঙ্গিনী তাদের বন্ধনের বিষয়ে এক ধরনের ভয়ে থাকেন আর তা দূর করার জন্যই তারা ভার্চুয়াল দুনিয়াও সঙ্গীর খোঁজখবর কিংবা কাছে থাকার চেষ্টা করেন। আর এই ক্ষেত্রে এক্সট্রোভার্ট সঙ্গী কিংবা সঙ্গিনীরা তাদের ভালবাসার মানুষটি কি করছে না করছে তা নিয়ে কম ভাবেন আর ইন্ট্রোভার্ট বা অন্তর্মুখীরা এটি বেশি দেখে থাকেন।
তথ্যসূত্রঃ ইউনিভার্সিটিহেরাল্ড