দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সারা পৃথিবী জুড়ে বসবাস করে নানা বৈচিত্র্যের মানুষ। তাদের প্রত্যেকেরই রয়েছে আলাদা আলাদা সংস্কৃতি। আর এই কৃষ্টি, সংস্কৃতি তাদেরকে দিয়েছে স্বকীয়তা। বিয়ে এই সকল সামাজিক সংস্কৃতির একটি অন্যতম ধারক ও বাহক। আজ আমরা বিভিন্ন সংস্কৃতির ঐতিহ্যবাহী বিয়ের পোশাকের কথা তুলে ধরবো আপনাদের সামনে।
কানাডার বিয়ের পোশাক অনেকটাই পাশ্চাত্য ধারার ঐতিহ্যবাহী বিয়ের পোশাকের মতো। তারা বিয়ের ক্ষেত্রে সাদা রঙকেই প্রাধান্য দিয়ে থাকেন বেশি। তবে বিয়ের পোশাকটি হয়ে থাকে বিভিন্ন কারুকাজপুর্ন। এটি অনেকটা গাউনের মতোই হয়ে থাকে।
জাপানিদের বিয়ের পোশাকটি ঐতিহ্যবাহী কিমানো পোশাকের আদলেই তৈরি করা হয়ে থাকে। এটি অনেক রঙের কারুকার্যসম্পন্ন এবং ঢিলেঢালা হয়ে থাকে।
ইন্দোনেশিয়ার বিয়ের পোশাকটিতে দুটি ভাগে বিভক্ত থাকে। এর উপরের অংশটি অনেকটা লম্বা কোটির মতো আর নিচের অংশটি স্কার্টের মতো। এটিই তাদের ঐতিহ্যবাহী বিয়ের পোশাক।
চীনাদের বিয়ের পোশাক জাপানিদের বিয়ের পোশাকের মতোই অর্থাৎ অনেকটা কিমানোর মতোই। সত্যিকার অর্থে জাপানি আর চীনের সাংস্কৃতিক মিলের কিছুটা ছাপ রয়েছে তাদের বিয়ের পোশাকেও।
বাংলাদেশ কিংবা বাঙালি সংস্কৃতিতে বিয়ের পোশাকটি শাড়ি। রঙের ভিন্নতা থাকলেও ঐতিহ্যবাহীভাবে এটি লালরঙের বেনারসিই হয়ে থাকে।
ভারতীয় গুজরাট কিংবা রাজস্থানের বিয়ের পোশাকের স্থান জুড়ে আছে লেহেঙ্গা। লাল সিদুরের সাথে মিল রেখে তারা লাল রঙের লেহেঙ্গা ব্যবহার করে থাকেন।
ফ্রান্স কিংবা ইউরোপের দেশগুলো বিয়ের পোশাকটি প্রায় একই রকম। এই ক্ষেত্রে এটি সাদা রঙের হয়ে থাকে। তবে ফ্রান্সে বিয়ের সাজসজ্জা সাদামাটা হয়ে থাকে।
দক্ষিণ আফ্রিকায় বিয়ের পোশাকে পাশ্চাত্য এবং আফ্রিকার সংস্কৃতির একটি সম্মিলন ঘটেছে। এই ক্ষেত্রে পোশাকের উপরের দিকটি ফিটিং এবং নিচের দিক গাউনের মতো ছড়ানো হয়ে থাকে।