দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অবাক করা ঘটনা হলেও জাপানী এক কোম্পানি ঘোষণা দিয়েছে তারা মহাকাশে যেতে পৃথিবী থেকে মহাকাশ ষ্টেশন পর্যন্ত বিশাল লিফট তৈরির পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে যা কিনা লম্বায় হবে ৯৬ হাজার কিলোমিটার!
জাপানের কোম্পানির এই প্রস্তাবিত মহাকাশ লিফট চালু হবে আনুমানিক ২০৫০ সাল নাগাদ। তারা জানিয়েছে তাদের তৈরি এই লিফট বানাতে ব্যবহার হবে কার্বন ন্যানোটিউব আর এই টিউব পৃথিবী থেকে মহাকাশে ক্যাপস্যুলে করে মানুষ, খাবার, কিংবা যন্ত্রপাতি নিয়ে যাবে।
দীর্ঘদিন ধরে রাশিয়া এবং আমেরিকার বিজ্ঞানীরা ধারণা পেতে চাচ্ছেন কিভাবে সরাসরি কোন উৎক্ষেপণ যন্ত্র ছাড়া পৃথিবী থেকে মহাকাশে যাওয়া যায় সেই বিষয়ে। ২০১২ সালে এই সম্পর্কিত একটি আন্তর্জাতিক সামিট অনুষ্ঠিত হলেও ফলাফল এখনো শূন্য বলা চলে। তবে স্পেস জায়েন্ট রাশিয়া, আমেরিকাকে পেছনে ফেলে এবার জাপানী কোম্পানি Obayashi Corporation ঘোষণা দিয়েছে তারা আগামী ৪০ বছরের মাঝেই মহাকাশ থেকে পৃথিবীতে লিফট টীউব স্থাপন করবেন এবং এতে করেই পৃথিবী থেকে মানুষ সহ নানান জিনিস মহাকাশে খুব কম খরচেই নেয়া সম্ভব হবে।
এদিকে 2012 আন্তর্জাতিক গবেষণা অবশ্য বলছে এটা শুনতে অদ্ভুত এবং অসম্ভব মনে হলে বাস্তবে কিন্তু এটা সম্ভব। তারা বলেন কার্বন ন্যানোটিউব এই প্রোজেক্টকে আলোর মুখ দেখাতে সমর্থ। কার্বন ন্যানো টিউবের দৃঢ়তা এবং নমনীয়তা নির্ধারিত হয় তাপ সঞ্চালনের উপর, অর্থাৎ সাধারণত এই টিউব থাকবে দৃঢ় কিন্তু যখনি এতে ক্যাপস্যুল যাবে বিশেষ তাপে এটি কিছুটা নমনীয় হবে যা ক্যাপস্যুলকে ধরে রেখে উপরে উঠে যেতে সাহায্য করবে।
যদিও এই প্রোজেক্টের জন্য ২০৫০ সময় নেয়া হয়েছে বাস্তবিক পক্ষে সফল গবেষণা হলে এটি ২০৩০ সাল নাগাদ পৃথিবীবাসী দেখতে পারে। এবং এতে করে মানুষ সহ নানান জিনিস মহাকাশে পাঠানো সম্ভব হবে খুব কম খরচে নিরাপদে। পরবর্তীতে সেখানে থাকা ষ্টেশন থেকে বিভিন্ন স্পেস যানে করে নানান গন্তব্য পাঠানো সম্ভব হবে মানুষকে।
যদি সত্যি এটা সম্ভব হয় তবে হয়তো পৃথিবীবাসী নতুন যুগের সম্মুখীন হতে যাচ্ছে। কারন এই লিফট মহাকাশের পাশাপাশি আমাদের আকাশ সীমায়ও বসানো হতে পারে এবং আকাশে স্থাপিত লিফটে চড়েই এক দেশ থেকে অন্য দেশে যাওয়াও অসম্ভব কিছুই হবেনা। যা শুনতে অনেকটা সাইন্স ফিকশন চলচিত্রের কাহিনী মনে হতেই পারে সবার কাছে…
সূত্র- sciencealert