দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বিশ্বের প্রথম এইডস জয় করা ব্যক্তির নাম টিমোথি রে ব্রাউন। একজন এইচআইভি আক্রান্ত রোগী থাকলেও প্রথম সৌভাগ্যবান ব্যক্তি হিসেবে নিশ্চিত মৃত্যুর দরজা হতে ফিরে এসেছেন তিনি।
এইডস মানেই নিশ্চিত মৃত্যু। দু’দিন আগে আর পরে যখনই হোক তাকে মৃত্যুর কাছে নতি স্বীকার করতেই হবে, এটিই সবার জানা। কিন্তু টিমোথি রে ব্রাউন সেই ধ্যান-ধারণার বাইরে গিয়ে একজন এইচআইভি আক্রান্ত রোগী হয়েও প্রথম সৌভাগ্যবান ব্যক্তি হয়েছেন। অর্থাৎ এই নিশ্চিত মৃত্যুর দরজা হতে ফিরে এসেছেন তিনি।
সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়, ‘বার্লিন পেশেন্ট’ নামেই পরিচিত ছিলেন জার্মানির টিমোথি রে ব্রাউন। এ ব্যাপারে চিকিৎসকরা পুরোপুরি নিশ্চিত নন যে তিনি ঠিক কোন প্রক্রিয়ায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
চিকিৎসকরা ধারণা করছেন, অনুদানে পাওয়া বোন-ম্যারোই এক্ষেত্রে কার্যকরী কোনো ভূমিকা রেখেছে। ওই বোন-ম্যারোতে একটি দুর্লভ জেনেটিক মিউটেশন (যাকে বলা হয় জিন পরিবর্তন প্রক্রিয়া) লক্ষ্য করেন চিকিৎসকরা। এই দুর্লভ জেনেটিক মিউটেশনকেই মূলত তার সেরে ওঠার প্রধান কারণ হিসেবে ধরছেন চিকিৎসকরা।
খবরে আরও বলা হয়েছে, শুধু এইডসই নয়, টিমোথি লিউকোমিয়া (শ্বেতরক্ত কণিকা ক্যান্সার) রোগীও ছিলেন। তিনি ২০০৭ সালে লিউকোমিয়ার চিকিৎসা হিসেবে প্রথমে রেডিয়েশন থেরাপি নেন। এরপর নতুন রক্তকণিকা গঠনে বোন-ম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্ট (রক্তকণিকা সৃষ্টির একটি চিকিৎসা) করান তিনি। এই সময় এক দাতা তাকে বোন-ম্যারোও দান করেন।
চিকিৎসকরা চিকিৎসার শুরু পর লক্ষ্য করলেন, লিউকেমিয়া নির্মূলের সঙ্গে সঙ্গে টিমোথির শরীরে এইচআইভির মাত্রাও উল্লেখযোগ্যহারে কমে গেছে। তবে তখনই তারা কোনো সিদ্ধান্ত দেননি।
চিকিৎসকরা সম্প্রতি তার শরীরের বর্তমান অবস্থা পরীক্ষা-নীরিক্ষা করে জানিয়েছেন যে, টিমোথি এখন এইডস তথা এইচআইভি মুক্ত ব্যক্তি। এমন কথা অনেকেই বিশ্বাস করতে না পারলেও সেটিই সত্য, এমন কথা জানিয়েছেন বিশ্বের প্রথম সৌভাগ্যবান ব্যক্তি টিমোথি রে ব্রাউন’র চিকিৎসকরা।