দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ নোইভা ডো করডেরিয়ো নামের ব্রাজিলের এক গ্রামের সাথে আপনাদের পরিচয় করিয়ে দিব আজ। আপনারা জেনে অবাক হবেন কারণ এই গ্রামে কোনো পুরুষ থাকেনা এখানে শুধুই নারীরা বসবাস করে। তবে সম্প্রতি এখানকার নারীরা শর্ত সাপেক্ষে বিয়ে করতে আগ্রহী হয়েছে।
আজ থেকে অনেক বছর আগে ১৮৯০ সালে ব্রাজিলে এক নারীরে তার ইচ্ছের বিরুদ্ধে বিয়ে দিলে তিনি শ্বশুর বাড়ি থেকে পালিয়ে চলে আসেন নোইভা ডো করডেরিয়ো নামের এই গ্রামে। তখন এখানে তেমন কোন মানুষ ছিলোনা তবে একটি গির্জা ছিলো যেখানে অনেক দূর থেকে মানুষ প্রার্থনা করতে আসতো।
ওই সময় সেই নারী অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন এবং পরে তার গর্ভে কন্যা সন্তানের জন্ম হয় তিনি সেখানেই বসবাস শুরু করেন। এর পরবর্তীতে গ্রামটির খবর পেয়ে আরো অনেক স্বামী হীন নারী এই গ্রামে আসেন এবং বসতি গড়েন।
এভাবেই এক সময় এখানে শুধুই নারীতে ভরে উঠে, পুরুষ এই গ্রামে থাকার অধিকার ছিলোনা, যদি গ্রামের কোন নারী বিয়ে করতেন তবে তাকে গ্রাম ছেড়ে স্বামীর বাড়ি যেতে দেয়া হতনা, পুরুষরাই এখানে সপ্তাহে দুইদিন এসে বসবাসের অধিকার পেতো। এসব নারীর গর্ভে কন্যা সন্তান হলে গ্রামেই থেকে যেতে পারত এর পুত্র হলে তাদের কিছুটা বড় করে পিতার সাথে দিয়ে দেয়া হত।
এখানকার সকল নারী নিজেদের খাবার এবং অর্থনীতিক ব্যবস্থা নিজেরাই করে থাকে। প্রাই সবাই কৃষিকাজ করে থাকে। এই গ্রামের সবাই স্বচ্ছল এবং আর্থিক ভাবে স্বাবলম্বী।
দিন দিন গ্রামে মেয়ের সংখ্যা এতো বেড়েছে যে এখন গ্রামের নারীদের বাধ্য হয়েই বিয়ে বিষয়ক সিদ্ধান্ত বদলাতে হয়েছে, তারা প্রায় ৪০০ নারীর এবং কুমারী রয়েছেন যাদের মাঝে ২০০ জনের মত কুমারী যারা কিনা বিবাহ উপযুক্ত রয়েছে। এসব নারী সম্প্রতি নিজেদের পছন্দ মত বর খুঁজতে আগ্রহী বলে জানিয়েছেন। তবে এখানেও তারা শর্ত জুড়ে দিয়েছেন যদি কোন পুরুষ বিয়ে করে নোইভা ডো করডেরিয়ো গ্রামেই থেকে যেতে আগ্রহী হয়ে থাকে তবেই কেবল তাদের বিয়ে করতে রাজি এসব সুন্দরী নারীরা!
উল্লেখ্য, নোইভা ডো করডেরিয়ো গ্রামের মেয়েরা বিয়ে করতে আগ্রহী শুনে ইতোমধ্যে বিভিন্ন দেশ থেকে অনেক পুরুষ এই গ্রামে পাড়ি দিচ্ছে নিজের পছন্দ মত একজন সুন্দরী বউ বেছে নিতে! কি ভাবছেন? যাবেন নাকি আপনি?