দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ নিউইয়র্ককে বিবেচনা করা হয় বিশ্বের সবচেয়ে সেরা কিছু আধুনিক শহরের মধ্যে একটি হিসেবে। এখানে কি কোন রহস্যময় কিংবা অজানা কিছু থাকতে পারে? কিন্তু মজার বিষয় হলো এই নিউইয়র্ক শহরের মধ্যেই একটি দ্বীপ আবিষ্কৃত হয়েছে যা পুরোপুরি রহস্যময়।
এই দ্বীপটির নাম হলো নর্থ ব্রাদার আইল্যান্ড। সাম্প্রতিক একজন রেডিট ব্যবহারকারী এই দ্বীপটির পাশে দিয়ে কায়াকে করে যাওয়ার সময় এর ভেতরে প্রবেশ করেন এবং হতভম্ব হয়ে যান। তিনি এই দ্বীপের অভ্যন্তরের ছবি তুলে রেডিটে আপলোড করেন।
নিউইয়র্ক শহরের ব্রুক্স আর কুইন্স শহরের মাঝে এই নর্থব্রাদার দ্বীপটি অবস্থিত।
ধারণা করা হয় দ্বীপটি ১৮৮৫ সালে স্থাপন করা হয়েছে। মূলত এখানে একটি হাসপাতাল স্থাপন করা হয়েছিল।
এই হাসপাতালে টাইফয়েড আর স্মল ফক্সের মতো মহামারী আকারের রোগীদের রাখা হতো।
১৯৫০ সালে এটিকে মাদক নিরাময় কেন্দ্রে রুপান্তর করা হয়। বিশেষকরে যারা হেরোইন আক্রান্ত ছিল।
১৯৬৩ সালে পুরো দ্বীপকে পরিত্যাগ করা হয়। মজার বিষয়টি হলো পুরো নিউইয়র্ক এর চেহারা পাল্টে গেলেও এই দ্বীপের কোন উন্নয়ন সাধন করা হয়নি যেন একটি মৃত্যুপুরী।
১৯৭০ সালে এই দ্বীপটি বিক্রি করার চেষ্টা করা হয়েছিল কিন্তু কেউ এটি কিনতে আগ্রহী নয়।
১৯৮০ সাল পর্যন্ত মানুষের ধারণা ছিল এটি কারাগার হিসেবে ব্যবহার করা একটি দ্বীপ।
দ্বীপের মূল দালানের মধ্যে হেরোইন আসক্তদের বিভিন্ন আর্টওয়ার্ক রয়েছে।
দ্বীপটি যেদিন পরিত্যাক্ত করা হয় সেদিন যে জিনিস যেমন ছিল তেমন রেখেই চলে আসে সবাই।
দ্বীপের একটি দরজায় অনেকগুলো বুলেটের দাগ এই দ্বীপ সম্পর্কে রহস্যকে আরো ঘনীভুত করেছে।
গ্যালারিতে আরো দেখুনঃ
তথ্যসূত্রঃ স্লিপটক