দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ স্বাস্থ্য সচেতন এবং কর্মব্যাস্ত জীবনে নারীরা পিরিয়ডের সময়টুকোতে পছন্দসই নানান ব্র্যান্ডের স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার করে থাকেন। আরামদায়ক এবং ব্যবহারের সুবিধার জন্য এটি খুবই জনপ্রিয়। তবে এর কিছু প্রভাব রয়েছে।
একটু লক্ষ্য করুন!!!
নারীদের পিরিয়ডের সময়টুকোতে পছন্দসই নানান ব্র্যান্ডের স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার করে থাকেন। আরামদায়ক এবং ব্যবহারের সুবিধার জন্য পিরিয়ডের সময়টুকোতে পছন্দসই নানান ব্র্যান্ডের স্যানিটারি ন্যাপকিন খুবই জনপ্রিয়।
একটি মাত্র স্যানিটারি প্যাড পুরো একদিন ব্যাবহারের করতে পারার অন্যতম কারন হচ্ছে এর মধ্যে থাকা ক্ষতিকারক রাসায়নিক পদার্থের উপস্থিতি। যেমন গাছের মন্ড/গাছপালার অপরিশোধিত শ্বেতসার এবং মারাত্মক ভাবে শুষে নিতে পারে এমন রাসায়নিক পদার্থ। যা তরল পদার্থ সমূহকে জেলির মত থকথকে পদার্থে রুপান্তরিত করে। এটা মুত্রাশয় এবং জরায়ুতে ক্যান্সার তৈরি করে।
পরীক্ষাগারে ন্যাপকিনের মধ্যে মানব দেহের জন্য ক্ষতিকারক বিশেষ দুইটি উপাদান ডক্সিন এবং সোডিয়াম পলিসাইক্লেটের উপস্থিতি পাওয়া গেছেঃ
ডক্সিন
ডক্সিন হচ্ছে ক্লোরিনের একটি উপজাত যেটি সাধারনত জীবানুনাশক হিসেবে ব্যাবহার করা হয়। কিন্তু শরীরে ডক্সিনের সামান্যতম উপস্থিতি আপনাকে সারা জীবনের জন্য এর ভুক্তভোগী বানাতে পারে। শিশুদের শরীরে ডক্সিনের সামান্যতম উপস্থিতি তার রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতাকে সারা জীবনের জন্য নষ্ট করে দিতে পারে। এর মানে স্বাভাবিকভেবে তারা যেমনটা হবার কথা তেমনটা কখনোই হবে না।
মানবদেহে ডক্সিন শারীরিক বিকাশ, প্রজনন ক্ষমতা, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার জন্য মারাত্মক হুমকি স্বরুপ। ফলশ্রুতিতে হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে এমনকি ক্যান্সারের সৃষ্টি করতে পারে। আমাদের শিশুরা ক্ষতিকারক ডক্সিন সমৃদ্ধ এসব ন্যাপকিনের স্পর্শে ২৪ ঘন্টাই থাকে আর আমাদের মেয়েদের শৈশব থেকে পুনরায় এর নতুন সংস্পর্শতার সৃষ্টি হয়। হরমোন রোগ শিশুদের মধ্যে ক্রমবর্ধমান সাধারণ হয়ে উঠছে, শারিরীক বৃদ্ধি এবংউচ্চতায় মেয়েদের কনিষ্ঠতার অন্যতম কারন হচ্ছে এটি।
সোডিয়াম পলিসাইক্লেট
দুর্ভাগ্যক্রমে ডক্সিন একমাত্র কারন নয়। সোডিয়াম পলিসাইক্লেট বিশেষ করে একধরনের শোষক জেল যেটি ন্যাপকিনের ভেতরের জলীয় দ্রবনের শোষণের কাজ করে থাকে। staph infections অর্থাৎ চামড়ার উপর একধরনের সংক্রামকের জন্য সোডিয়াম পলিসাইক্লেটকে দায়ী করা হয়ে থাকে। স্টেপ ইনফেকশন হচ্ছে স্টেপিলোকোকাস ব্যাকটেরিয়ার ফলাফল যা চামড়ার উপর সাধারনত থাকে। স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যাবহারকারীরা দীর্ঘদিন এলার্জির প্রতিক্রিয়ার মধ্যে থাকে যা তারা সচারচর ধরতে পারে না।
তাহলে কি করা যায়?
আল্ট্রা ন্যাপকিন কোনো অবস্থাতেই নয়, চাইলে ম্যাক্সি প্যাড ব্যাবহার করতে পারেন। ম্যাক্সি প্যাড অনেকটাই নিরাপদ। সবচেয়ে ভালো হয় যদি আপনি শুধুমাত্র তুলোর তৈরি প্যাড ব্যাবহার করেন। আর হ্যা… অবশ্যই মনে করে আপনার প্যাডটি অন্তত প্রতি ৫ঘন্টা পর পর পরিবর্তন করুন।
যদি আপনি সময়কে দীর্ঘায়ীত করেন আপনার রক্ত সবুজ রঙ ধারন করে সেখান থেকে ছত্রাক তৈরি হয়ে জরায়ুর মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করতে পারে। যার জন্য হতে পারে জরায়ু মুখে ক্যান্সার, এলার্জি সহ নানা সংক্রমন।
এই ব্যাপারটি নিয়ে কোন লজ্জা নয়। আলোচনা করুন সবার সাথে, এমনকি প্রতিটি ছেলের সাথেও যাতে করে তারা তাদের পছন্দের মানুষ এবং পরিবারকে একটি নিরাপদ জীবন পেতে সাহায্য করতে পারে।
সচেতনতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ
নিরাপদে থাকুন, সুস্বাস্থ এবং শুভকামনা রইল।
লিখেছেন-
সানোফি মহিন
ই-মেইল- sanofimohin@gmail.com
পাবলিক প্রফাইল:
ফেসবুক প্রফাইল: