দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ইসলামী স্টেট যাকে বলা হয় আইএস তারা সেই আদি আমলের খেলাফতি মুদ্রা চালুর ঘোষণা দিয়েছে। ইসলামের তৃতীয় খলিফা হজরত উসমান (রা:)-এর শাসনামলের আদলে স্বর্ণ, রৌপ্য এবং তাম্রমুদ্রা ছাড়তে যাচ্ছে আইএস।
সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, ইসলামের তৃতীয় খলিফা হজরত উসমান (রা:)-এর শাসনামলে যেসব মুদ্রা প্রচলিত ছিল, নিজেদের নিয়ন্ত্রিত এলাকায় ঠিক সেই আদলে স্বর্ণ, রৌপ্য এবং তাম্রমুদ্রা ছাড়তে যাচ্ছে ইসলামিক স্টেট (আইএস)। প্রস্তাবিত এইসব স্বর্ণমুদ্রাকে ‘দিনার’ এবং রৌপ্যমুদ্রাকে ‘দিরহাম’ বলা হবে। আইএসের অনুমোদিত একটি ওয়েবসাইটের বরাত দিয়ে গার্ডিয়ান এই খবর দিয়েছে।
খবরে আরও বলা হয়, আইএস ইরাক এবং সিরিয়ার যেসমস্ত বিস্তীর্ণ এলাকা দখল করেছে, সেখানে কেনাবেচার জন্য এই ধাতব মুদ্রা ব্যবহৃত হবে। আইএসের ‘খলিফা’ আবু বাকার আল বাগদাদি নাকি এই ‘ইসলামি দিনার’ প্রচলনের আদেশ দিয়েছেন।
নিজেদের অর্থব্যবস্থা চালু করার বিষয়টি নিশ্চিত করে সুন্নি অনুসারী দলটির পক্ষ থেকে জানানো হয় যে, তারা ৬৩৪ খ্রিষ্টাব্দে খলিফা ওসমানের চালু করা সোনা এবং রুপার মুদ্রার ব্যবস্থা করবে। মুদ্রাগুলো হবে খাঁটি সোনা, রুপা এবং তামা দিয়ে তৈরি।
খবরে জানা যায়, দিনার তৈরি করা হচ্ছে ৪ গ্রাম ওজনের সোনা দিয়ে। আর দিরহামে থাকবে ৩ গ্রাম রুপা। গোলাকার এই মুদ্রার উভয় পিঠে খেলাফতের নাম অঙ্কিত থাকবে। ইতিমধ্যেই আইএস তাদের নতুন মুদ্রা ইরাকের মসুল এলাকার বিভিন্ন মসজিদে বিতরণ করা শুরু করেছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম।
খবরে বলা হয়, ইরাক এবং সিরিয়ার দখল করা তেলক্ষেত্র হতে তেল উত্তোলন করে প্রতিদিন কালোবাজারে বেচে ১০ লাখ ডলার করে আয় করছে আইএস। এইসব অর্থ দিয়ে তারা চোরাচালানিদের নিকট থেকে সোনা ও রুপা কিনছে। সেইসব সোনা ও রুপা দিয়েই তৈরি করা হচ্ছে মুদ্রাগুলো।