দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বাংলাদেশে সফররত ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনআইএ’র কর্মকর্তারা সন্দেহভাজনদের নাম মোবাইল নম্বরসহ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে। গতকাল সোমবার ওই সংস্থার প্রতিনিধি দল ঢাকায় এসে পৌঁছে।
বর্ধমানে বিস্ফোরণের ঘটনায় সন্দেহভাজন কয়েকজনের নামের তালিকা ও মোবাইল নম্বর বাংলাদেশকে দিয়েছে ওই ঘটনার তদন্তের দায়িত্বে থাকা ভারতের জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার (এনআইএ) প্রতিনিধি দল। ওই দলটি গতকাল ঢাকায় এসে পৌঁচেছে।
ভারতের এনআইএর মহাপরিচালক শারদ কুমারের নেতৃত্বে ৪ সদস্যের ওই প্রতিনিধি দল গতকাল সোমবার সকালে এয়ার ইন্ডিয়ার একটি ফ্লাইটে ঢাকায় পৌঁছেন। তারপর দুপুরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জ্যেষ্ঠ সচিব মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক খানের উপস্থিতিতে পুলিশ, র্যাব, বিজিবি এবং বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে পরিচিতিমূলক বৈঠক করেন। এর পর মন্ত্রণালয়েই বাংলাদেশের বিভিন্ন বাহিনীর প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত কমিটির সঙ্গে বৈঠক করেন এনআইএর প্রতিনিধি দল।
এদিকে গতকাল সোমবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এনআইএর কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ন কমিশনার মনিরুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, ‘বর্ধমানের ঘটনায় এনআইএ প্রতিনিধি দল কিছু নাম ও মোবাইল নম্বর দিয়েছে।’
নাম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এক জঙ্গির শত নাম থাকে। এ নামগুলো আমরা যাচাই-বাছাই করছি। আসলে তারা কোন দেশের নাগরিক তা তদন্ত শেষে জানা যাবে।’
এদিকে গতকাল বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. কামাল উদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে ৬ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। বাংলাদেশ এই কমিটি ভারতীয় তদন্ত দলকে সহযোগিতা করবে। দুই দেশই সন্ত্রাস নির্মূলে এক সঙ্গে কাজ করতে চাই। ভারত এবং বাংলাদেশের ভূখণ্ড ‘দুষ্কৃতীদের’ ব্যবহার করতে না দেওয়ার বিষয়ে দুই দেশই একমত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
গত ২৬ ফেব্রুয়ারি ময়মনসিংহের ত্রিশালে প্রিজন ভ্যানে হামলার পর হতে পলাতক জেএমবি জঙ্গি মিজান ওরফে জাহিদুল ইসলাম ওরফে বোমা মিজান বর্তমানে ভারতে অবস্থান করছেন এমন ধারণা পোষণ করছে ভারতীয় গোয়েন্দারা। মিজান পশ্চিমবঙ্গে জেএমবির তরুণ জঙ্গিদের বোমা বানানোর প্রশিক্ষণ দিচ্ছে বলেও এনআইএ কর্মকর্তাদের সন্দেহ রয়েছে।
গত ২ অক্টোবর ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমানে একটি বাড়িতে বিস্ফোরণে ২ জন নিহত হওয়ার পর বিষয়গুলো ভারতীয় গোয়েন্দাদের নজরে আসে। এরপরই ওই ঘটনায় বাংলাদেশের নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জেএমবির সম্পৃক্ততার কথা বলেন এনআইএ’র কর্মকর্তারা।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের দুই নেত্রী শেখ হাসিনা এবং খালেদা জিয়াকে হত্যার একটি ছকও কষছে জঙ্গিরা। শুধু তাই নয়, সেইসঙ্গে আন্তঃদেশীয় একটি জঙ্গি নেটওয়ার্কের তথ্য পাওয়ার কথাও দাবি করে আসছেন এনআইএর গোয়েন্দা কর্মকর্তারা।