দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বর্তমান সময়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের একটিতে পরিণত হয়েছে মোবাইল। এই মোবাইলের চার্জ দেওয়া বেশ ঝামেলাকর অনেকের কাছেই। কিন্তু সেই ঝামেলা থেকে মুক্ত থাকার জন্য নতুন আবিষ্কার, আর তা হলো এখন থেকে হেঁটে হেঁটেই হবে মোবাইলচার্জ।
আধুনিকতার ঝড়ো বাতাস এমনভাবে ঝাপটা মারছে তাতে মানুষের জীবন-যাত্রার সবকিছুই একেবারে হাতের নাগালে চলে আসছে। বর্তমান সময়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের একটিতে পরিণত হয়েছে মোবাইল। এই মোবাইলের চার্জ দেওয়া বেশ ঝামেলাকর অনেকের কাছেই। কিন্তু সেই ঝামেলা থেকে মুক্ত থাকার জন্য নতুন আবিষ্কার, আর তা হলো এখন থেকে হেঁটে হেঁটেই হবে মোবাইলচার্জ। এখন থেকে আলাদা করে চার্জে দেওয়ার ঝামেলা একেবারেই করতে হবে না।
ফাইল ফটো
ব্যাটারিচালিত মোবাইল ফোন কিংবা ট্যাব পকেটে রেখে চলাফেলা করলেই তাতে চার্জ হয়ে যাবে। চলাফেরার সময় চার্জ হতে থাকবে। আপনি পার্কে কিংবা অফিসে হেঁটে যেতে থাকবেন আর তাতেই চার্জ হবে মোবাইল, এমন সুবিধা হয়তো খুব শিগগির পেতে পারেন। এই সুখবরটা দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকেরা। তারা মোবাইলে ব্যবহার উপযোগী এমন একটি ব্যাটারি উদ্ভাবন করেছেন,যেটি মানুষের নড়াচড়া কাজে লাগিয়ে শক্তি সঞ্চয় করতে সক্ষম।
সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা যায়, ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির গবেষকেরা ২ সেন্টিমিটার প্রশস্ত বিশেষ এক ধরনের ব্যাটারি তৈরি করার দাবি করেছেন। তারা বলছেন যে, এই ব্যাটারিচালিত মোবাইল ফোন কিংবা ট্যাব পকেটে রেখে চলাফেলা করলেই তাতে ক্রমেই চার্জ হতে থাকবে। ‘থার্মালি রিজেনারেটিভ ইলেকট্রো কেমিক্যাল সাইকেল’ নামের বিশেষ পদ্ধতিতে এই ব্যাটারি কাজ করবে।
গবেষকরা আরও বলছেন, তাদের উদ্ভাবিত ব্যাটারিকে ব্যবহারিক কাজের উপযোগী করে তুলতে আরও উন্নত উপাদান এবং উন্নত নকশা নিয়ে ভাবছেন তারা। পুরোপুরি গবেষণা শেষ হলে টেকসই প্রযুক্তির মাধ্যমে এটি বাস্তবায়ন হবে। তবে তারা পুরোপুরি আশাবাদি।
উল্লেখ্য, এই প্রযুক্তিটি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন গবেষকরা। এর আগে করেছেন ইউনিভার্সিটি অব উইসকনসিন-ম্যাডিসনের গবেষকরা। তারা ২০১২ সালে হাঁটতে হাঁটতেই মোবাইল চার্জ দেওয়ার একটি প্রযুক্তি উদ্ভাবনের কথা অবশ্য জানিয়েছিলেন। তখন তাদের দাবি ছিল, হাঁটার ফলে যে শক্তি উৎপাদন হবে, তা সরাসরি মোবাইল ফোন বা সঙ্গে থাকার ডিভাইসটির ব্যাটারিতে জমা হতে থাকবে। অবশ্য তারা এও বলছিলেন যে, এই প্রযুক্তির সুবিধা নিতে হলে হাঁটার সময় বিশেষ ধরনের একটি জুতা পরতে হবে। ‘এনার্জি হারভেস্টার’ নামের একটি পদ্ধতিতে মোবাইল, ল্যাপটপ, ফ্ল্যাশলাইটসহ ইলেকট্রনিক যন্ত্রগুলোর চার্জ দেয়া যায়। এই পদ্ধতিতে এনার্জি হারভেস্টারকে জুতার মধ্যে বসিয়ে দেওয়া হয়, যা যান্ত্রিক শক্তিকে বিদ্যুৎ শক্তিতে রূপান্তর করে থাকে।
সময় অভাবে অনেকেই মোবাইল চার্জ দেওয়ার সময় পান না। অন্তত এমন আবিষ্কার মানুষের সেই মোবাইল চার্জ দেওয়ার ঝামেলা থাকবে না। যাহোক কবে নাগাদ এই আবিষ্কার জনগণের মাঝে আসে সেটিই দেখার বিষয়।