দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ব্রিটিশ রাজপরিবারের পুত্রবধূ কেট উইলিয়ামকে ছুঁয়ে শেষ পর্যন্ত বিপাকে পড়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের বাস্কেটবল কিংবদন্তি জেমস। কারণ হলো ব্রিটিশ রাজপরিবারের কাওকে স্পর্শ করা তাদের ঐতিহ্যবহির্ভূত একটি ব্যাপার।
ব্রিটিশদের নাক উঁচু স্বভাবের সেই কথা হয়তো জানা ছিল না যুক্তরাষ্ট্রের বাস্কেটবল কিংবদন্তি লেব্রন জেমসের। আর সেকারণেই ঘটলো বিপত্তি। ব্রিটিশ রাজপরিবারের কাওকে স্পর্শ করা তাদের একটি ঐতিহ্যবহির্ভূত ব্যাপার। সেই বিষয়টিও জানা ছিল না যুক্তরাষ্ট্রের বাস্কেটবল কিংবদন্তি’র।
ঘটনাটি ঘটলো বৃহস্পতিবার নিউইয়র্কে ক্লিভল্যান্ড ক্যাভালিয়ার্স বনাম ব্রুকলিন নেটসের খেলা দেখার পর। এসময় পাশাপাশি দাঁড়িয়ে ছবি তোলার সময় ব্রিটিশ রাজপরিবারের পুত্রবধূ কেট উইলিয়ামের কাঁধে হাত রাখেন লেব্রন জেমস। আর সেই ছবিতে ঘটলো বিপত্তি। জেমসের এমন কাণ্ডেই ব্রিটিশ মিডিয়াগুলো জাত গেলো! জাত গেলো! করে হৈচৈ ফেলে দিয়েছে।
ব্রিটেনের এক বিশেষজ্ঞ উইলিয়াম হ্যানসন ব্রিটিশ ট্যাবলয়েডকে বলেছেন, ‘ডাচেস এই নিয়ে চিন্তা না করলেও, জেমসের উচিত ছিল ওইভাবে তার গায়ে হাত না দেওয়া। আসলে, মার্কিনিরা ব্রিটিশ রাজপরিবারকে একটু ছুঁতে চায়। এতদিনেও ওরা ব্রিটিশ আদব-কায়দা শিখলো না।’
এই ঘটনা নিয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের সমালোচনায় টুইটারে পাল্টা স্টেটাস দিয়েছেন মার্কিনিরা। তারা সবাই জেমসের পাশেই দাঁড়িয়েছেন। বেশিরভাগ স্টেটাসের বক্তব্য, ‘জেমসের এ ব্যবহার বন্ধুত্বপূর্ণই ছিল, নিয়ম ভাঙা তার উদ্দেশ্য ছিল না।’ অনেকের আবার এও মন্তব্য করেছে যে, ‘মার্কিনিরা এমন করেই সম্মান জানায়। সেটা আপনার ভালো বা খারাপ লাগলে আমাদের কিছু করার নেই।’
ডেনভার ডিসপিউটের জেফ ট্রড তার মন্তব্যে লিখেছেন, ‘ব্রিটিশ আদব-কায়দা কেবলমাত্র বাকিংহাম প্যালেসে গেলে প্রযোজ্য। কিন্তু বাস্কেটবল কোর্টে চলবে আমাদেরই নিয়ম।’
ঘটনা যায়ই হোক, খুব সামান্য এই ঘটনাও সারাবিশ্বে হাওয়ার আগেই উড়ে বেড়াচ্ছে। কারণ হলো, হাজার হলেও বৃটিশ রাজ পরিবার বলে কথা!