ইতিহাসের সাক্ষী বারোবাজারের সাতগাছিয়া-আদিনা মসজিদ

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। আজ শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০১৪ খৃস্টাব্দ, ১২ পৌষ ১৪২১ বঙ্গাব্দ, ২ রবিউল আউয়াল ১৪৩৬ হিজরি। দি ঢাকা টাইমস্ -এর পক্ষ থেকে সকলকে শুভ সকাল। আজ যাদের জন্মদিন তাদের সকলকে জানাই জন্মদিনের শুভেচ্ছা- শুভ জন্মদিন।

ইতিহাসের এক সাক্ষী হয়ে রয়েছে বারোবাজারের সাতগাছিয়া মসজিদ। ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার বারোবাজারের সাতগাছিয়া-আদিনা মসজিদ অবস্থিত।

এই মসজিদটি বারোবাজার হতে ৪ কিলোমিটার পশ্চিমে সাতগাছিয়া মৌজায় বিরাট আকারের এই সাতগাছিয়া-আদিনা মসজিদটি অবস্থিত। আদিনা শব্দের অর্থ শুক্রবার । ১৯৮৩ সালে বিরাট আকারের ঢিবির কিছু অংশ স্থানীয় জনগণ খনন করেন। এর কিছু অংশ থেকেই ১৬টি থাম এবং পোড়ামাটির নকশাসহ ৫টি মেহরাব বিশিষ্ট চমৎকার এই মসজিদের সন্ধান মেলে।

জানা যায়, ১৯৯৩ সালে পুরাকীর্তি সংরক্ষণ এবং প্রত্নতত্ব বিভাগ খননের মাধ্যমে ৪৮টি স্তম্ভের উপর ৩৫ গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদটি আবিষ্কার করে। এই মসজিদের উপরে কোন গম্বুজ নেই। এই মসজিদ এলাকাটি অনেকটা নির্জন এবং জঙ্গলাকীর্ণও।

এক তথ্যে জানা যায়, বারোবাজার ভগ্নস্তুপ হতে এই পর্যন্ত যতগুলো মসজিদ আবিষ্কৃত হয়েছে তারমধ্যে আয়তনে এটিই সবচেয়ে বড়। এর প্রবেশ পথ পূর্ব, উত্তর এবং দক্ষিণে। এই মসজিদের মোট ১৭টি প্রবেশ পথ রয়েছে। পশ্চিম দেওয়ালে রয়েছে ৭টি মেহরাব।

বাগেরহাটের ষাট গম্বুজ মসজিদের সঙ্গে এই মসজিদের ভিতরকার নির্মাণ পরিকল্পনার সাদৃশ্য খুঁজে পাওয়া যায়। ষাট গম্বুজ মসজিদের নির্মাণকাল পঞ্চদশ শতাব্দীর প্রথম দিকে। এই মসজিদটিরও নির্মাণ এবং পরিকল্পনায় সাদৃশ্য থাকার কারণে আদিনা মসজিদের নির্মাণ কালও এটাই ধরা হয়ে থাকে। এই আদিনা মসজিদটি বাংলাদেশের প্রাচীনতম মসজিদের অন্যতম একটি মসজিদ।

ছবি: icwow.blogspot.com ও তথ্য: apparelbangladesh24.com এর সৌজন্যে।