দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ গাজা, আফিম, হেরোইনসহ নানা মাদকের পর এবার যুব সমাজকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাচ্ছে মরণ নেশা ইয়াবা।
সাম্প্রতিক সমযে এই মরণ নেশা দেশের যুব সমাজকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে। দেশে গত কয়েক বছরে মাদক হিসেবে ইয়াবার ব্যবহার আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে৷ ইয়াবার প্রধান ক্রেতা উঠতি বয়সের তরুণ-তরুণীরা৷ চিকিৎসকরা বলছেন, ইয়াবার সর্বনাশা ছোবলে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে ভবিষ্যত প্রজন্ম৷
প্রতিদিনই দেশের কোন না কোন স্থানে ইয়াবা ধরা পড়ছে। আর দেখা যাচ্ছে এসব ইয়াবা যেমন ব্যবহার করছে তরুণ-তরুণীরা। আবার এর চোলাচালানির সঙ্গে জড়িত হয়ে পড়ছে অনেক তরুণ-তরুণী। এভোবে চলতে দিতে থাকলে এদেশের যুব সমাজ ধ্বংস হয়ে যাবে।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের বার্ষিক মাদক প্রতিবেদন হিসাবে গত কয়েক বছরে ইয়াবা উদ্ধারের পরিমাণ:
২০০৮ সালে মাত্র ৩৬ হাজার ৫৪৩টি
২০০৯ সালে এক লাখ ২৯ হাজার ৬৪৪
২০১০ সালে আট লাখ ১২ হাজার ৭১৬
২০১১ সালে ১৩ লাখ ৬০ হাজার ১৮৬
২০১২ সালে ১৯ লাখ ৫১ হাজার ৩৯২
২০১৩ সালে ২৮ লাখ ২১ হাজার ৫২৮টি ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার হয়৷ এভাবে প্রতিবছর বাড়ছে ইয়াবার ব্যবহার। ধারণা করা হয়, বাংলাদেশে এখন ইয়াবাসেবী তরুণের সংখ্যা অন্ততপক্ষে ৪০ লাখের মতো৷
ইয়াবা সেবনে কি কি প্রতিক্রিয়া হতে পারে:
# ইয়াবা সেবনে শরীরে মারাত্মক প্রতিক্রিয়া হয়৷
# সেবনের পর প্রথমে মনে হয় শরীরে অনেক শক্তি এসেছে, সব ক্লান্তি কেটে গেছে৷
# এটি একটি উত্তেজক মাদক৷
# দীর্ঘমেয়াদে এটি পুরো স্নায়ুতন্ত্রের ওপর প্রচণ্ড খারাপ প্রভাব ফেলে৷
# স্নায়ুতন্ত্রের স্বাভাবিক কাঠামো এবং কার্যক্রম নষ্ট করে দেয়৷
# এ ধরনের মাদকের প্রভাবে অনেক সময় মানুষ বদ্ধ পাগলের মতো আচরণ করে (সাইকোসিস সিনড্রম)৷
# এটি সেবনের ফলে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের (স্ট্রোক) ঝুঁকিও তৈরি হয়৷