দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অবশেষে সেই মৃত্যুকূপ বন্ধ হলো। তবে জীবন সংহার এবং বহু কাহিনীর পর। রাজধানীর শাহজাহানপুরের রেল কলোনীতে পরিত্যক্ত সেই পাইপের মুখ এটি।
গত শুক্রবার ঘটে যাওয়া স্মরণকালের ঘটনায় দেশজুড়ে যে এক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। শুক্রবার বিকেল থেকে শুরু করে সারারাত জুড়ে চলে সেই ঘটনা। ওয়াসার পরিত্যাক্ত পানির পাইপের মধ্যে পড়ে যায় সাড়ে ৩ বছর বয়সের শিশু জিহাদ। তাকে উদ্ধারের কাহিনী আমাদের সকলের জানা। অবোধ শিশু জিহাদকে সেদিন উদ্ধার করা হলেও জীবিত উদ্ধার করা যায়নি। আর সেই ঘটনা পুরো জাতিকে ব্যথিত করেছে। বহু কাহিনী ও জীবন সংহারের পর অবশেষ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে রাজধানীর শাহজাহানপুরের রেল কলোনীর পরিত্যক্ত সেই পাইপের মুখ।
জিহাদকে উদ্ধারের পর পরই ঝালাই করে ১৪ ইঞ্চি ব্যাসের ওই পাইপের মুখ স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরিত্যক্ত ওই গভীর নলকূপের পাইপে জিহাদের পড়ে যাওয়ার ঘটনার দিনই (শুক্রবার) রেলওয়ের সিনিয়র উপ-সহকারী প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলমকে বরখাস্ত করা হয়। তিনিই ছিলেন ওই প্রকল্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।
জিহাদকে মৃত অবস্থায় উদ্ধারের পর ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা ওই এলাকায় রেলের জমিতে স্থাপিত বিভিন্ন দোকানপাট এবং ওয়াসার অস্থায়ী স্থাপনাও ভাংচুর করে। তারা বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। সময় মতো উদ্ধারে ব্যর্থতার কারণে অকাল মৃত্যুর ঘটনায় এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। যে কারণে শেষ পর্যন্ত কর্তৃপক্ষ ওই কূপের মুখ বন্ধ করেন।