দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ প্রোটোকল ভেঙ্গে ওবামাকে স্বাগত জানালেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। গতকাল রবিবার ভারতীয় সময় সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে ৩ দিনের সফরে ভারতে পৌঁছেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা।
গতকাল রবিবার ভারতীয় সময় সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে ৩ দিনের সফরে ভারতে পৌঁছেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। নয়া দিল্লির কুয়াশা ঘেরা বিমান বাহিনীর স্টেশন পালামে স্ত্রী মিশেলকে নিয়ে ওয়ারফোর্স ওয়ান হতে নেমে আসেন বারাক ওবামা। এ সময় প্রোটোকল ভেঙেই তাকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে উপস্থিত হন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এক পর্যায়ে আবেগে আপ্লুত হয়ে মার্কিন রাষ্ট্রপতিকে জড়িয়ে ধরেন মোদি। এ সময় ওবামাকে লাল গালিচা অভ্যর্থনা জানানো হয়। ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষেই মূলত মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার এই সফর।
ভারতের প্রোটোকল অনুযায়ী, ভারতে অন্য কোনো রাষ্ট্রনেতাকে বিমানবন্দরে খোদ প্রধানমন্ত্রীর স্বাগত জানানোর কোনো রীতি নেই। কিন্তু ভারত-মার্কিন সম্পর্ক আরও পাকা-পোক্ত করার বার্তা দিতে সেই প্রোটোকল ভেঙে ফেললেন নারেন্দ্র মোদি। বিমানবন্দর হতে বারাক ওবামা ও মিশেল ওবামা পৌঁছান আইটিসি মৌর্য্য হোটেলে। সেখান হতে রাষ্ট্রপতি ভবনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যান তিনি। রাষ্ট্রপতি ভবনে বারাক ওবামাকে গার্ড অফ অনার দেওয়া হয়।
এই সফরের ফলে অসামরিক পরমাণু চুক্তি, প্রতিরক্ষা, পরিকাঠামো, তথ্যপ্রযুক্তি, অর্থনৈতিক সহায়তা ও বিনিয়োগ-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভারত-মার্কিন সম্পর্ক আরও কয়েক ধাপ এগিয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। ২৭ জানুয়ারি সকালে সিরি ফোর্ট অডিটোরিয়ামে বক্তৃতা শেষে সৌদি আরব রওনা হবেন বারাক ওবামা।
সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, তবে ওবামার সফরের বিরোধিতা করে শনিবার কোলকাতায় অন্তত ১০ হাজার সমর্থক নিয়ে মিছিল করেছে বাম দলগুলি। বামফ্রন্টের ১১টি দল ছাড়াও এসইউসিআই(সি) এবং সিপিআইএমএল (লিবারেশন) এই মিছিলে যোগ দেয়। অপরদিকে দিল্লিতেও অনুরূপ একটি মিছিল হয়।
পরমাণু চুক্তিতে সই ওবামা- মোদি’র
গতকাল রবিবার ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে একটি পরমাণু চুক্তি সই হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের খবরে জানানো হয়, ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির হায়দরাবাদ হাউস গার্ডেনে ওবামা এবং মোদির দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হয়। এরই মধ্যে এই দুই সরকারপ্রধান ২০০৮ বেসামরিক পরমাণু সহযোগিতা চুক্তি (টু থাউজেন্ড এইট সিভিল নিউক্লিয়ার কো-অপারেশন অ্যাগ্রিমেন্ট) স্বাক্ষর করেন। বেলা সোয়া ৩টার দিকে হায়দরাবাদ হাউসে এই দুই নেতার আনুষ্ঠানিক বৈঠক শুরু হয়। বৈঠক শেষে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে গণমাধ্যমের সামনে বক্তব্য তুলে ধরবেন তাঁরা।