দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ গত এক মাসে দেশজুড়ে লাগাতার অবরোধ ও হরতালে বহু মানুষ অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন। বহু মানুষের জীবন গেছে। এখনও ঢামেকের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন বহু মানুষ। তাদের সাহায্যের উদ্দেশ্যে বার্ন ইউনিটে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী আবেগ ধরে রাখতে পারেননি। তিনি কাঁদলেন।
হরতাল-অবরোধে পেট্রোল বোমা হামলায় দগ্ধদের দেখতে যান ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে। কিন্তু সেখানে গিয়ে দগ্ধদের হালত দেখে আবেগকে তিনি ধরে রাখতে পারেননি। তাই কাঁদলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ বুধবার সকালে ঢামেক বার্ন ইউনিটে যান প্রধানমন্ত্রী। এ সময় তিনি পেট্রোলবোমায় দগ্ধ রোগীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদের মাথায় হাত বোলান। এক পর্যায়ে তিনি আর তাঁর আবেগ ধরে রাখতে পারেননি- কেঁদে ফেলেন তিনি।
যাত্রাবাড়ীতে বাসে পেট্রোল বোমায় দগ্ধ ফার্মাসিস্ট দম্পতি সাহিদা ফাতেমা জামান এবং তার স্বামী ইয়াসিন আরাফাত। তাদের ১৬ মাসের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। এরই মধ্যে চিকিৎসা নিয়ে বাসায় ফিরে গেছেন ইয়াসিন। কিন্তু ফাতেমা জামান এখনও বার্ন ইউনিটের আইসিইউ’র বিপরীত পাশে অবস্থিত পোস্ট অপারেটিভ ইউনিটে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ সময় বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন সবার হাতে একটি করে দশ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্রের চেক তুলে দেন।