দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ভুতের কথা শুনলে গায়ের লোম খাড়া হয়ে যায়। এমনই একটি ভুতের কাহিনী ঘটেছে কোর্টে। ভুতের ভয়ে কোর্টরুম শেষ পর্যন্ত বন্ধ হয়ে গেছে।
কোর্টরুম নাকি ভুতের কারখানা? ভুতের ভয়ে সকলকে ভীত হয়ে থাকতে হয়। হ্যা এমনই এক কোর্টের খবর পাওয়া গেছে। সেই কোর্টে নাকি শোনা যায় ভুতের হাড় হিম করা আওয়াজ। আবার ঘটে যায় নানারকম রহস্যময় কাণ্ড-কারখানা। ভুতের ঠেলায় শেষ পর্যন্ত বাধ্য হয়ে তাই কোর্টরুমের দরজায় তালা ঝোলাতে হয়েছে আদালত কর্তৃপক্ষকে।
ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের মহীশূরে। সেখানকার একটি নিম্ন আদালত কক্ষে বেশ কয়েক মাস ধরেই এমন গুজব ছড়িয়েছে। ভুতের কারণে কোর্টরুমের কাজ বন্ধ রেখে সেটিকে ভাঙা টেবিল-চেয়ার রাখার স্টোর বানিয়ে রাখা হয়েছে। বিগত ৯ মাস ধরেই চলছে এই অবস্থা।
সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালের মে মাস হতে বন্ধ রয়েছে মহীশূরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালতের এই কোর্টরুমটি। আদালতের মূল দরজা দিয়ে ঢুকলে প্রথমেই চোখে পড়ে এই ‘ভুতুড়ে’ কোর্টরুমটি। হাজার হাজার মামলায় ব্যস্ত একটি আদালতে এই ধরনের অদ্ভুত ঘটনায় দীর্ঘদিন ধরে একটি কক্ষ তালাবন্ধ রাখার প্রতিবাদে সরব হয়েছে এখানকার বার অ্যাসোসিয়েশন।
ওই কোর্টরুমে কি ঘটনা ঘটতো? এমন প্রশ্নে জানা যায়, এই কোর্টরুমে যে বিচারক মামলা পরিচালনা করতেন, পথ দুর্ঘটনায় গত বছর তার মৃত্যু হয়। তারপর হতে এখানে ভুতের গুজব ছড়িয়ে পড়ে। ভুতের ভয়টি এমনভাবে ছড়িয়ে পড়ে যে, আদালত কর্তৃপক্ষও এতে সায় দেন। আইনজীবিদের সংগঠনের বক্তব্য হলো, কোনও অসাধু চক্র প্রয়াত বিচারককে অপমান করার উদ্দেশ্যে এই ধরনের গুজব ছড়িয়েছে। কিন্তু আদালত কর্তৃপক্ষ কেনো কোনোরকম তদন্ত না করে গুজবে কান দিয়ে কোর্টরুম তালাবন্ধ করে দিল, সেই প্রশ্ন বার অ্যাসোসিয়েশনের।