দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সৌদিতে দুই বাংলাদেশীসহ চারজনকে হত্যার দায়ে দুই পাকিস্তানী নাগরিককে গ্রেফতার করেছে সৌদি গোয়েন্দা পুলিশ।
সৌদি গেজেটের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সৌদি আরবে দুই বাংলাদেশীসহ চারজনকে হত্যার অভিযোগে দুই পাকিস্তানী নাগরিককে গ্রেফতার করেছে দেশটির গোয়েন্দা ও তদন্ত দপ্তরের কর্মকর্তারা। গ্রেফতারকৃরা হলো- আসাদ জান (২৪) এবং আদম খান (২২)। গ্রেফতারের পর তারা দুজনই হত্যার কথা স্বীকার করেছে বলে প্রকাশিত সৌদি গেজেটের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
খবরে বলা হয়েছে, ঘাতকদের একজনের সাবেক প্রেমিকা এক শ্রীলঙ্কান নারীর সঙ্গে সম্পর্কের জন্য এক ভারতীয়কে ছলেবলে মরু এলাকায় নিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন বলে তারা জানিয়েছেন। হত্যার পর তারা ওই ভারতীয়র মরদেহ একটি কম্বলে মুড়িয়ে ওয়ারহাউজের পিছনে মাটিতে পুঁতে ফেলেন। নিহত ব্যক্তি যে গাড়িতে এসেছিলেন সেই গাড়িটি নিয়ে তারা অন্য জেলা আল-ফাতাহর একটি বিপণীবিতানের পিছনে রাখেন।
জানা যায়, ত্রিশের কোঠায় বয়সী এক বাংলাদেশী ট্যাক্সিচালককে ভাড়া করে আল-সাহাফা জেলায় নিয়ে যান তারা। সেখানে পৌঁছানোর পর একজন তার গলা টিপে ধরেন এবং অন্যজন পকেট হতে ছুরি বের করে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করেন।
ওই বাংলাদেশীকে হত্যার পর তার কাছে থাকা টাকা ও অন্যান্য জিনিসপত্র ছিনিয়ে নেয় তারা। এরপর আগের হত্যাকাণ্ডের পর নেওয়া গাড়ি, যেটা একটি বিপণীবিতানের পিছনে রাখা হয়েছিল তাতে তার মরদেহ রাখেন দুই খুনি।
ওই খুনিরা এরপর একইভাবে আরেক ভারতীয়কে হত্যার পর আল-আরিদ জেলায় কাঠের স্তূপের নিচে তার মরদেহ লুকিয়ে রাখেন। ওই ভারতীয়ের গাড়ি নিয়ে তাতে অন্য একটি লাইসেন্স প্লেট লাগান দুই ঘাতক।
একইভাবে চতুর্থ ব্যক্তিকে হত্যা করেন ওই খুনিরা। এবার তাদের শিকার হন চল্লিশের কোঠায় বয়সী এক বাংলাদেশী ট্যাক্সিচালক। তার মরদেহ আল-আরিদ জেলায় মাটিতে পুঁতে রাখা হয় বলে সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে।
সৌদি আরবের গোয়েন্দা ও তদন্ত দপ্তরের কর্মকর্তারা সবগুলো লাশ এবং গাড়ি উদ্ধার করেছেন। এসব ঘটনার আগেও গাঁজার টাকা সংগ্রহে একটি গাড়ি চুরি করে তার ইঞ্জিন এবং যন্ত্রাংশ পৃথক পৃথক বিক্রির কথা দুই পাকিস্তানী স্বীকার করেছেন বলে প্রতিবেদনে বলা হয়।