দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এবার এক নারীর গায়ে বিদ্যুৎ পাওয়া গেছে। তাকে স্পর্ষ করলে শক্ লাগছে। সম্প্রতি ভারতে এরকম এক নারীর সন্ধান মিলেছে যাকে স্পর্শ করলেই গায়ে বৈদ্যুতিক শক্ লাগছে।
আমরা সবাই জানি বিদ্যুৎ থাকে ইলেকট্রিক তারে। কিন্তু কোনো মানুষের গায়ে বিদ্যুৎ থাকতে পারে তা কেও কখনও চিন্তাও করেনি। কিন্তু ঘটেছে তাই। সম্প্রতি ভারতে এরকম এক নারীর সন্ধান মিলেছে যাকে স্পর্শ করলেই গায়ে বৈদ্যুতিক শক্ লাগছে।
ভারতের বেলুড়ের বাসিন্দা নাম তার আশা চৌধুরী। ৩৩ বছরের এই গৃহবধূর গায়ে হাত লাগতেই ছিটকে পড়তে হয়। যেমন মানুষ যদি কোনো বিদ্যুতের তারে হাত দেয় সে ছিটকে পড়বে। ওই মহিলার ক্ষেত্রেও ঘটছে তাই। তার গায়ে হাত লাগলেই চমকে দূরে সরে যাচ্ছেন পরিজনেরা। কেননা তাকে স্পর্শ করলেই শক্ খেতে হচ্ছে। এই ঘটনায় গোটা এলাকায় সাড়া পড়ে গেছে।
সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, তার শরীরে বিদ্যুৎ রয়েছে কীনা তা দেখতে গায়ে ‘টেস্টার’ ছুঁইয়ে চলছে নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষাও। বিষয়টি নিয়ে আতঙ্কে রয়েছেন তার স্বামী-সন্তানরা। আশা চৌধুরী নিজেও এই সমস্যা নিয়ে বেশ চিন্তায় রয়েছেন। তিনি সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, ‘কী হয়েছে, আমি কিছুই বুঝতে পারছি না। ভয়ে ছেলে-মেয়ে কেও সামনেই আসছে না।’
ঘটনার সূত্রপাত ঘটে শুক্রবার সকালে। আশাদেবীর তিন বছরের মেয়ে শ্রেয়া। আদুরে মেয়ে বরাবরের মতো এদিনও মাকে জড়িয়ে ধরে। কিন্তু গায়ে হাত দিতেই বিদ্যুতের শক্ খাওয়ার মতো কেঁপে ওঠেন মা। ঝটকা লাগে শ্রেয়ারও। তখন অবশ্য বিষয়টিতে আমল দিতে চাননি আশা। তিনি ভেবেছিলেন, মেয়ে আলপিন জাতীয় কিছু এনে গায়ে ফুটিয়ে দিয়েছে। তাই খোঁচা খেয়েই হয়তো এমন মনে হয়েছে। কিন্তু তার ধারণা যে ভুল, কিছুক্ষণ পরেই টের পান তিনি। ছেলে অয়ন এসে গায়ে হাত ধরতেই ফের দু’জনেরই ঝটকা লাগে। ভয় পেয়ে বাড়ির বাইরে থাকা তার স্বামী সুনীল চৌধুরীকে ফোন করেন আশা। স্ত্রীর ফোন পেয়ে দ্রুত বাড়ি ফিরে আসেন সুনীলবাবু। দুপুরে খাওয়া শেষে স্টিলের প্লেটটি আশাদেবীর হাতে দিতেই ফের সেই ঝটকা। সুনীলবাবু বলেন, ‘থালাটা হাতে দিতেই আমার স্ত্রী শক্ খাওয়ার মতো কেঁপে উঠলো। আমারও একইভাবে শক্ লাগলো।’
বারবার এই ঘটনা ঘটতে থাকায় ভয়ে মায়ের কাছে যেতে চাইছে না দুই ছেলে-মেয়ে শ্রেয়া ও অয়ন। বাড়ির পরিচারকেরাও ভয়ে দূরে দূরে থাকছেন। স্নায়ু চিকিৎসকদের মতে, এই ধরনের ঘটনা বিরল। ছোট ছোট স্নায়ু কোনও কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হলে মানব শরীরে এমন বৈদ্যুতিক শক্ লাগার মতো পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। যাকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় বলা হয়ে থাকে, ‘পিওর সেন্সারি নিউরোপ্যাথি বা স্মল ফাইভার নিউরোপ্যাথি’।