দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ পৃথিবীতে অনেক রকম প্রাণী বসবাস করে। এর মধ্যে অনেক প্রাণী রয়েছে যাদের আশ্চর্যজনক ক্ষমতা রয়েছে। এমনই কয়েকটি ক্ষমতাধর ও আশ্চর্য কিছু প্রাণী সম্পর্কে আজকের প্রতিবেদন।
পৃথিবীতে অনেক রকম প্রাণী বসবাস করে। কিছু প্রাণী শতকের পর শতক ধরে নিজেদের ক্ষমতা শানিত করেছে কেবলমাত্র বেঁচে থাকার প্রয়োজনে। এগুলোর মধ্যে কিছু স্থলে আবার কিছু বিস্তৃত মহাসাগরের তলদেশে বসবাস করে। এসব প্রাণীর দারুণ ক্ষমতা আমাদের কিঞ্চিৎ হলেও ঈর্ষান্বিত করে। এখানে উল্লেখিত প্রাণীদের রয়েছে বেশ কিছু আশ্চর্যরকম ক্ষমতা। আজ আপনাদের জন্য রয়েছে এমনই কিছু প্রাণীর আশ্চর্যজনক ক্ষমতার কথা।
লম্বাপায়ী চিংড়ি বা ম্যান্টিস শ্রিম্প
চিংড়ি আমরা সবাই চিনি। উজ্জ্বল এবং নিয়ন রঙের মহাসাগরীয় প্রাণী ম্যান্টিস শ্রিম্প বা যাকে বলা হয় লম্বাপায়ী চিংড়ি। এর একটি নয়, দুটি বিশেষ ক্ষমতা রয়েছে। এদের চোখে ১৬টি পৃথক পৃথক রঙ দেখতে পারে। এমনকি অতিবেগুনীরশ্মি পর্যন্ত এদের চোখে ধরা পড়ে। এদের অন্য ক্ষমতাটি হলো এরা এদের শুঁড় বা পা ঘন্টায় ৩০ হতে ৫০ মাইল বেগে নাড়াতে পারে।
টার্ডিগ্রেড
টার্ডিগ্রেড জল ভাল্লুক নামেও অধিক পরিচিত। এরা প্রায় অবিনাশী হয়। এক ইঞ্চিরও কম দৈর্ঘ্যের একটি টার্ডিগ্রেড কোনো খাবার ছাড়াই ১২০ বছর পর্যন্ত বাঁচতে পারে। নানা প্রতিকূল অবস্থাতেও এরা বেঁচে থাকতে পারে মূলত তাদের অতিধীর বিপাক প্রক্রিয়ার কারণে।
মিমিক অক্টোপাস
জেলিফিস, লায়নফিস, সামুদ্রিক সাপ এবং অন্যান্য সামুদ্রিক প্রাণীকে অনুকরণ করার অদ্ভুত ক্ষমতা রয়েছে এই মিমিক অক্টোপাসের। মিমিক অক্টোপাস এই কাজটি করে থাকে নিজেদের গায়ের রঙ এবং আকৃতি পরিবর্তন করে। একটি মিমিক অক্টোপাস সাগরের তলদেশে কোনোকিছুর আকার এবং পরিবর্তন দেখে সেকেন্ডের মধ্যে নিজের বিপদ বুঝতে সম্মত হয়।
লিরিবার্ড
এক জটিল পাখি হলো এই লিরিবার্ড। সকল গায়ক পাখির চেয়ে লিরিবার্ডের কণ্ঠে আছে এক জটিল মাংসপেশী। এর এক অদ্ভুত ক্ষমতা হলো- এরা প্রাকৃতিক কিংবা কৃত্রিমভাবে অগণিত শব্দ নকল করতে পারে। যা অন্য কোনো গায়ক বা কথাবলা পাখি কখনও পারে না। যেসব শব্দ এরা নকল করতে পারে সেগুলো হলো- ক্যামেরার শাটারের শব্দ, গাড়ির হর্ন, মানুষের কথা, কুকুরের ডাক ইত্যাদি এগুলো লিখে বা বলে শেষ করা যাবে না। ধারণা করা হয়, নারী লিরিবার্ডকে আকৃষ্ট করতে একটি পুরুষ লিরিবার্ড তার শেখা সকল শব্দ নিয়ে গান গাওয়ার চেষ্টা করে থাকে। -লোলওয়াট অবলম্বনে।