দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ‘তিল থেকে তাল হয়’ এটি শুধুই প্রবাদবাক্য হলেও ঠাকুরগাঁও সেনুয়া ঘাটপাড়া এলাকার যুবকরা তা বাস্তবে প্রমাণিত করেছে। তারা যাতায়াত সহজ করার জন্য এলাকাবাসীমিলে সেচ্ছা শ্রম দিয়ে রাস্তা তৈরির পর এবার মুষ্টির চাল তুলে সেনুয়া নদীর উপর সাঁকো নির্মাণের কাজ করছে!
জানা গেছে, সেনুয়া ঘাটপাড়া এলাকা শহর থেকে ৪ কিঃমি দূরে। এতে করে শহরে এলাকাবাসীর আসতে অনেক সময় লাগে। এদিকে শ্মশান ঘাটের পেছন দিয়ে একটি রাস্তা রয়েছে যা দারজিলিং নামে পরিচিত। এ রাস্তা দিয়ে শহরের দূরত্ব ১-২ কিঃমিঃ। তাই এলাকাবাসী যাতায়াত করার জন্য স্বেচ্ছা শ্রমের মাধ্যমে রাস্তা নির্মাণের কাজ ইতিমধ্যে শেষ করেছে। এলাকাবাসী প্রতি বাড়িতে বাড়িতে মুষ্টির চাল (ভাত রান্নার সময় পাতিল থেকে এক মুঠ চাল উঠিয়ে জমা রাখা চাল) তুলে সেনুয়া নদীর উপর বাঁশের সাঁকো নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছেন। এ সাঁকো নির্মাণ করা হলে এলাকার যাতায়াত সহজ হবে। মানুষকে আর ৪ কিঃমিঃ ঘুরে আসতে হবে না।
এলাকাবাসীরা জানান, যাতায়াত সহজ করার জন্য এলাকার কিছু তরুণ বাড়ি বাড়ি মুষ্টির চাল তুলে সাঁকো নির্মাণের কাজ করছে। এটি একটি মহৎ উদ্যোগ।
সালন্দর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলে এলাহী মুকুট চৌধুরী জানান, এলাকার কিছু তরুণ যুবক নিজ উদ্যোগে সাঁকো নির্মাণের কাজ করছে। সেনুয়া নদীর উপর একটি ব্রিজের জন্য স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর বরাবরে আবেদন করা হবে।
ঠাকুরগাঁও স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী পরিচালক শাহানুর ইসলাম জানান, ওই এলাকার পক্ষের রাস্তা বা সাঁকো নির্মাণের কোন লিখিত আবেদন পাওয়া যায়নি। তবে ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষে আবেদন করা হলে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরে আবেদন করা হবে।
পরের মুখাপেক্ষী হয়ে বসে না থেকে ওই এলাকার যুবকরা যে উদ্যোগ নিয়েছে তা নি:সন্দেহে প্রশংসার দাবি রাখে। ইচ্ছে থাকলে এভাবে তিলে তিলে অনেক কিছুই গড়ে তোলা সম্ভব।