দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মানুষের সঙ্গে মানুষের প্রেম, মানুষের সঙ্গে হিংস্র জন্তুর প্রেম অনেক গল্পের পর এবার খবর পাওয়া গেলো গোখরো সাপের সঙ্গে কিশোরীর প্রেমের কথা।
বিষধর গোখরো সাপের কথা শুনলে যে কেও ভয়ে গায়ের লোম খাড়া হয়ে উঠবে। কিন্তু ১১ বছরের ভারতীয় এক কিশোরী বিপজ্জনক গোখরোদের দিব্যি বন্ধুর মতো মিলে-মিশে রয়েছেন! এই কিশোরীর নাম কাজল খান। খাওয়াদাওয়া হতে শুরু করে ঘুমানো পর্যন্ত সব সময় কাজল থাকে গোখরো সাপের সঙ্গে। বিষধর সাপগুলোর সঙ্গে তার মিতালির গভীরতা এতোই ব্যাপক যে সাপগুলোর গায়ে আঘাত করলেও তাকে কামড়ায় না কখনও।
ভারতের উত্তর প্রদেশের ঘাটামপুরে কিশোরী কাজলের বসবাস। কিশোরী কাজলের বক্তব্য, ‘গোখরোগুলোর সঙ্গে আমি অনেক মজা করি। ওরা কামড়ালে একটু ব্যথা লাগে, কিন্তু মাঝে মধ্যে এটি আমার দোষেই হয়। কারণ আমি ওদের পেছনে লাগি। তবে এটা খুবই মজার ব্যাপার।’
কিশোরী কাজলের বাবা তাজ মোহাম্মাদ (৫০) একজন সাপুড়ে। ৪৫ বছর ধরে তিনি এই পেশায় রয়েছেন। তার ৩১ বছর বয়সী বড় ছেলে গুলাব বাবার যোগ্য সহকারী। পরিবারের সবচেয়ে ছোট কাজলও তাদের পারিবারিক এই পেশার ব্যাপারে যথেষ্ট আগ্রহী।
কাজল বললো, ‘স্কুলে যেতে ভালো লাগে না। সাপ নিয়ে কাজ করতেই আমার বেশি ভালো লাগে।’ তবে মাঝে মধ্যেই এই অস্বাভাবিক বন্ধুত্বের মূল্য দিতে হয় কাজলকে। এজন্য তাকে পেট, থুতনি এবং বাহুতে কামড়ও খেতে হয়েছে। একবার বেশ অসুস্থ হয়েও পড়েছিল সে। কিন্তু এখন সে সম্পূর্ণভাবে সুস্থ।
কিন্তু কাজলের মা সালমা বানু কখনও চান না, তার মেয়ে এ রকম সাপ নিয়ে সব সময় পড়ে থাকুক। বাড়ির ছোট মেয়েটি ব্যাগে করে সাপ নিয়ে যাওয়ার জন্য স্কুল হতে আগেই বহিষ্কার হয়েছে।
সালমা বানুর বলেছেন, ‘আমি চাই, অন্যদের মতো সে স্কুলে যাক। যদি আমার কোনো উপায় থাকতো, তাহলে সাপ হতে ওকে দূরে রাখতাম। কিন্তু কাজল ওদের খুব ভালোবাসে। তাই আমি ওকে কষ্ট দিতেও চাই না।’
কিশোরী কাজল এখন পড়াশোনা বাদ দিয়ে গোখরোদের নিয়েই থাকে। গোখরোদের সঙ্গে কাজলের গলায় গলায় ভাব। সারাক্ষণ তাদের সঙ্গে খেলছে, কাঁধে নিয়ে ঘুরছে। তাদের সঙ্গে নিয়ে এদিকে-ওদিকে যাচ্ছে। সাপের সঙ্গে কোনো কিশোরীর এতো ভাব হতে পারে, তা না দেখলে কেও বিশ্বাস করবেন না! তথ্যসূত্র : ডেইলি মেইল।