দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কোমায় হতে সন্তান প্রসব করেছিলেন এক তরুণী। ওই তরুণীর আর জ্ঞান ফিরবে না এমন কথাও বলে দিয়েছিলেন চিকিৎসকরা। কিন্তু চিকিৎসকদের সেই ভবিষ্যতবাণী মিথ্যা প্রমাণ করে জ্ঞান ফিরে পেয়েছেন ওই তরুণী!
গত ডিসেম্বরে এক গাড়ি দুর্ঘটনায় কোমায় চলে যান ওই তরুণী। তার গর্ভে তখন পাঁচ মাসের সন্তান ছিল। তিনি যে সেই কোমা হতে বেরিয়ে আসতে পারবেন, বিন্দুমাত্র সে আশা ছিল না চিকিৎসকদের।
চিকিৎসকদের কথায় নিরাশ হলেও, আশা ছাড়েনি ওই তরুণীর পরিবার। ক্ষীণ আশা জিইয়ে রেখেছিল ওই তরুণীর কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাস। তরুণীর আর জ্ঞান ফিরবে না ধরে নিয়ে গত জানুয়ারিতেই তার ডেলিভারি করা হয়। স্বাভাবিক কারণেই সন্তানের ওজন ছিল মাত্র দু পাউন্ডেরও কম। চিকিৎসকদের বিশেষ নজরদারিতে রাখতে হয় বাচ্চাটিকে। তবে বাচ্চাটি এখন সম্পূর্ণ সুস্থ। ওদিকে ডিসেম্বর গড়িয়ে এপ্রিল চলে এলো। চিকিৎসকদের ভবিষ্যতবাণী ভুল প্রমাণ করে চোখ খুললেন সেই তরুণী।
গাড়ি দুর্ঘটনার পর ম্যাডিসনভিলের ২০ বছর বয়সের তরুণী শরিস্টা জাইলসনের পরিবারকে মার্চের গোড়ায় জানিয়ে দেওয়া হয়, চিকিৎসক হিসেবে তাদের আর কিছুই করার নেই। তরুণীর আত্মীয় বেভারলি জাইলসের কথায়, ডাক্তার আশা ছাড়লে কী হবে, আমরা কিন্তু আশা ছাড়িনি। তাই সেখান হতে শরিস্টাকে আমরা নিয়ে যাই হারিমান কেয়ার অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টার নামে অপর একটি হাসপাতালে। মার্চ হতে সেখানেই রাখা হয়েছে শর্মিস্টাকে। সম্প্রতি সেখানেই জেগে ওঠেন ওই তরুণী। পরিবারের ডাকে সাড়াও দিয়েছেন তিনি।
এদিকে শিশুটিরও ওজন বেড়ে এখন দাঁড়িয়েছে ছ’ পাউন্ডে। মায়ের ওই যমে-মানুষে টানাটানির মধ্যে তার নাম রাখা হয়ে ওঠেনি। মুখে মুখে নাম হয়ে গিয়েছে বেবি-এল। কোমা হতে জেগে পুত্রসন্তানের ছবি হতে আর চোখ সরাননি তরুণী। ডাক্তারদের আশা, খুব শিগগির তারা বাচ্চাটিকে মায়ের কোলে তুলে দিতে পারবেন। এক আনন্দ ফিরে পেতে যাচ্ছে একটি পরিবার।