দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আগেকার আমলে রাজা-বাদশারা গুপ্তধন লুকিয়ে রাখতেন। যুক্তরাষ্ট্রের একটি পর্বতে গুপ্তধন রয়েছে- এমন খবর পাওয়ার পর এক হুলস্থুল কাণ্ড শুরু হয়েছে।
রাজা-বাদশাদের আমলের সেই গুপ্তধনের কাহিনী উঠে এসেছে এই আধুনিক আমলে। এক সময় গুপ্তধনের কথা আমরা শুনলেও এখন এটি রূপকথার গল্পের মতোই শোনা যায়। উত্তর আমেরিকার রকি পর্বতমালায় নাকি রয়েছে সত্যিকারের গুপ্তধন।
সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়, এক কোটিপতি নাকি খেয়ালের বশে সেখানে পুঁতে রেখেছেন স্বর্ণ এবং মূল্যবান জিনিসভর্তি একটি সিন্দুক। এমন খবর ছড়িয়ে পড়লে সে সিন্দুকের সন্ধানে রকি পর্বতমালায় চষে বেড়িয়েছে হাজার হাজার মানুষ। তবে এখনও কেও সেই গুপ্তধনের খোঁজ পায়নি। যুক্তরাষ্ট্রের নিউ মেক্সিকো অঙ্গরাজ্যের শিল্পকলা ও স্বর্ণমুদ্রা সংগ্রাহক ফরেস্ট ফেন মূলত এই রহস্যসন্ধানী।
খবরে বলা হয়, ওই ব্যক্তির মনে নিজের সম্পদগুলো লুকিয়ে রেখে আনন্দ পাওয়ার সাধ জাগে। তবে কীভাবে সেগুলো লুকাবেন সেটাই ভেবে পাচ্ছিলেন না তিনি। পরে তার স্বর্ণালঙ্কারগুলো ১শ’ বর্গ ইঞ্চির একটি সিন্দুকে পুরে সেটি রকি পর্বতমালায় লুকিয়ে রাখেন। ৫ বছর আগে এ খবর ছড়িয়ে পড়ার পর এখন পর্যন্ত অনেকেই সেই সিন্দুকের খোঁজে পুরো পর্বতময় এলাকা চষে বেড়াচ্ছেন। কিন্তু কেওই সফল হননি।
একটি সমস্যার বিষয় হলো, কেও জানে না ৩ হাজার মাইলের রকি পর্বতমালার কোন অংশে সিন্দুকটি রয়েছে। শৌখিন ফেনও রহস্য করে বলেছেন, কলারাডো হতে মন্টানা, নিউ মেক্সিকো বা ওয়াইয়োমিং যে কোনো অঙ্গরাজ্যে এটি থাকতে পারে। গত গ্রীষ্মেই সেখানে সিন্দুকের খোঁজ করেছে অন্তত ৩০ হাজার মানুষ। এ বছর গ্রীষ্মে ৫০ হাজার মানুষ সেই গুপ্তধনের খোঁজে আগ্রহী বলে খবর পাওয়া গেছে।
ফরেস্ট ফেনের উদ্বৃতি দিয়ে অডিটি সেন্ট্রাল ডটকম বলেছে, ওতে রয়েছে ২৫৬টি স্বর্ণমুদ্রা, মুরগির ডিমের আকারের কয়েক হাজার স্বর্ণের টুকরো, রুবি, এমারেল্ড, নীলকান্তমণি এবং হীরার জিনিসপত্র। কিন্তু এখন পর্যন্ত এর কোনো হদিস মেলেনি গুপ্তধনের। তবে কি আসলেও গুপ্তধন রয়েছে ওখানে?