দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আগে যা কখনও শোনা যায়নি তা এবার শোনা গেলো। এবার মানুষের হৃদপিণ্ড দিয়ে তৈরি লকেটের সন্ধান পাওয়া গেছে। যেটি বহুযুগ আগের এক সমাধিস্থান হতে উদ্ধার করা হয়েছে।
সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত এক খবরে বলা হযেছে, ঘটনাটি ফ্রান্সের রেনসে। সেখানকার এক সমাধিস্থান হতে উদ্ধার হয় সাতেরো শতকের একটি মমি। উদ্ধারকৃত ওই মমিটি ছিল ব্রিটানির সভ্রান্ত পরিবারের এক নারীর। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হলো, সেখান হতে উদ্ধার হয় একটি বড় লকেট। যার মধ্যে ছিল মানুষের একটি সত্যিকারের হৃদপিণ্ড!
এমন খবর শুনে আপনি অবাক হতেই পারেন। কিন্তু বাস্তবে তাই ঘটেছিল সেই বহুযুগ আগেই। বোঝা যায় এটিও ভালোবাসার একটি নিদর্শন। মৃত্যুর পরেও ‘হৃদয়ের মৃত্যু’ যাতে না হয় সেজন্যই প্রেমিক তার প্রেমিকাকে এমন উপহার দিয়ে গেছেন। ওই প্রেমিক হয়তো চেয়েছিলেন সমাধিস্থানে রাখা হোক তার স্বামীর হৃদপিণ্ডটি। মৃত্যুর পরেও তাই শতাব্দীর পর শতাব্দী মাটির গভীরে চলেছে নীরবে প্রেম নিবেদন!
প্রত্নতত্ত্ববিদরা ধারণা করছেন, মমিটি লুইস দ্য কোয়েনগোর, তিনি ছিলেন এক সভ্রান্ত পরিবারের বিধবা নারী। তার মমি হতে পাওয়া যায় একটি লকেট, যেখানে রয়েছে তার স্বামীর সংরক্ষণ করা হৃদপিণ্ডের মমিও।
এই লকেটটি পাওয়ার পর গবেষকরা নানাভাবে গবেষণা করছেন। আসলে কি ঘটেছিল তা বের করার চেষ্টা করছেন গবেষকরা। তবে গবেষণা করে প্রাথমিকভাবে কিছু তথ্য তারা পেয়েছেনও। এখনও কোয়েনগোর শরীরের অনেক অঙ্গ-প্রতঙ্গ এবং টিস্যু নরম রয়েছে। তার কিডনি পরীক্ষা-নীরিক্ষা করে পাওয়া গেছে কিছু পাথর। যক্ষায় আক্রান্ত হয়েছিলেন কোয়েনগো। কিন্তু প্রত্নতত্ত্ববিদরা মনে করছেন, তিনি প্লেগ রোগে মারা গেছেন। কিন্তু একটি বিষয় এখনও ধোঁয়াশা রয়েছে, আর তা হলো এই হৃদপিণ্ড কেনো মমির সঙ্গে রাখা ছিল? সেইসময়ে রীতি অনুযায়ী রাখা হয়েছিল- নাকি শুধুমাত্র তার অন্তিম ইচ্ছা অনুযায়ী এমন কাজ করা হয়েছিল? এ প্রশ্নের জবাব খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন গবেষকরা।