দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ভুতের কাহিনী শুনলে আমরা ভয় পেয়ে যায়। কিন্তু তাই বলে ভুতের গ্রাম মন ভালো করে এমন কথা কখনও না শুনলেও আজ রয়েছে এমন এক ভুতের গ্রামের গল্প!
ভুতের কথা শুনে চমকে ওঠার বদলে প্রশংসা করবেন এমন একটি গ্রাম। মোট কথা দারুণ এক গ্রাম। আপনিও ইচ্ছে করলেই যেতে পারেন। কোনো বিধি নিষেধ নেই যেতে। যদি ঘুরতে ভালোবাসেন তাহলে আপনিও যেতে পারেন সেই গ্রামে। তবে শর্ত একটাই, ভূতের ভয় পেলে কিন্তু মোটেও চলবে না। যদি ভূতের পরোয়া না থাকে তবেই ঘুরে আসতে পারেন গৌকি দ্বীপের ওই গ্রাম হতে। আপনার মন ভালো হয়ে যাবে।
সংবাদ মাধ্যমে এমন একটি সংবাদ প্রকাশ পেয়েছে। ভুতের গ্রামে ভুতের উত্পাতে বাড়িগুলো অনেক বছর আগেই পরিত্যক্ত হয়েছে। আর তাই ভুলেও কেও পা মাড়ায় না এই গ্রামে। আগে অনেকেই এখানে মাছ ধরতে আসতো। মত্স্যশিকারিদের কাছে খুবই জনপ্রিয় ছিল চীনের এই গৌকি দ্বীপটি। ঝাঁকে ঝাঁকে লোক আসতো- ছিপ হাতে। চার ফেলে সারাদিনের মতো বসতো নদীর ধারে। কিন্তু সেই ভুতেরে ভয়। আর তাই প্রাণের মায়া বড় মায়া। তাই মাছ ধরার নেশা ভুলে গেছে ওই এলাকার লোকজন।
চীনের সাংহাই হতে মাত্র কয়েক ঘণ্টার রাস্তা। রাতে তো দূরের কথা, দিনেও কেও পা মাড়ায় না ওই গ্রামে। কেও যে এখানে আসে না, রাস্তাঘাট দেখলেই তা বোঝা যায়। আবার বোঝা যায় পরিত্যক্ত ঘরগুলোর দিকে তাকালেও।
দেখতে খুবই সুন্দর। একেবারে সবুজ মখমলে মোড়া ঘরদোর। কোনোটার ছাদ রয়েছে, আবার কোনোটায় নেই। বাধা বিপত্তি নেই, উপড়ে ফেলারও কেও নেই। তাই নিশ্চিন্তে বেড়ে উঠেছে আগাছার জঙ্গল। কিন্তু সেই বুনো গাছগাছালিতেও একটা সৌন্দর্য রয়েছে। যেনো প্রকৃতিপ্রেমী কারো হাতে সাজানো গোটা একটা গ্রাম।
কে সাজায় এইসব বাড়ি? ভূতেরাই কি সাজায় ভূতদের বাড়ি? এর কারণ হলো এ বাড়ির তো আর মালিকানা নেই কারো। কারো নামে মালিকানা থাকলেও তিনি ঘরদোর ছেড়ে স্বইচ্ছায় পালিয়েছেন ভূতের উপদ্রবে! তবে ভূতের ভয় কেমন? কিভাবে উৎপাত করতো ভুতগুলো? এসব নিয়ে কেও মুখ খোলে না। গৌকি দ্বীপের নাম শুনলে শুধু শিউরে ওঠে অনেকেই!
চীনেরই এক সাহসী ফোটোগ্রাফার একবার সাহস করে ঢুকে পড়েছিলেন ওই ভুতের গ্রামে। কিন্তু কোনো ভুত-টুত তিনি দেখেনেনি। তবে তার ক্যামেরার লেন্সে ভুত ধরা না পড়লেও ধরা পড়েছে প্রকৃতির সবুজ নির্মল সব ছবি। যেগুলো দেখে অনেকেই বলেছেন আসলে এটি ভুতের গ্রাম নয়, এটি মন ভালো করে এমন এক গ্রাম! আসলেও কি তাই?