দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এক ব্যক্তির এতোগুলো স্ত্রী ও পরিবারের সদস্য থাকতে পারে তা কেও কখনও ভাবতেও পারেননি। কিন্তু সত্যিই তাই। আজ রয়েছে ৩৯ স্ত্রীসহ ১৪৭ সদস্যের এমন এক পরিবার কাহিনী।
সংবাদ মাধ্যমে এমন অনেক খবর আমরা আগেও দেখেছি। কিন্তু এবার এমনই একটি খবর সংবাদ মাধ্যমে এসেছে। এক ব্যক্তির একইসঙ্গে ৩৯ স্ত্রী, ৯৪ সন্তান আর ১৪ পুত্রবধূসহ মোট ১৪৭ সদস্যের পরিবার! ঘটনাটি বেশি দূরের নয়, ভারতের মিজোরাম রাজ্যের বাসিন্দা জিয়ানো চানার সংসার। নাতি-নাতনি মিলে পরিবারের মোট সদস্য প্রায় দুই শতাধিক।
সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়, মিজোরাম শহর হতে মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরে বখতয়াং গ্রামের একটি ৪তলা বাড়িতে থাকেন জিয়ানো চানার বিশাল পরিবারের সদস্যরা। এই বাড়িটিতে ঘর রয়েছে প্রায় ১০০টি।
এতোগুলো বিয়ে করেছেন যে, হাতের কড় গুনে স্ত্রীদের নাম বলেন জিয়ানো চানা। তিনি জানান, মাত্র ১৭ বছর বয়সে প্রথম বিয়ে করেছিলেন তিনি। বিয়ের সময় তার প্রথম স্ত্রী জাথিয়াংগিরের বয়স ছিল ১৯ বছর। তারপর বয়সের সঙ্গে সঙ্গে স্ত্রীর সংখ্যাও বেড়েছে। ২০০০ সালে সর্বশেষ বিয়ে করেন তিনি। সেটাও হয় মাত্র ১৯ বছর বয়সী সিয়ামি নামে একজনের সঙ্গে।
সংবাদ মাধ্যমকে জিয়ানো চানা বলেছেন, প্রতিদিন সকাল হলেই বাড়ির পুরুষরা বেরিয়ে পড়েন কাজে। নিজের ও অন্যের জমিতে চাষাবাদ, পশু পালন, বন হতে কাঠ সংগ্রহ ও পোলট্রি ফার্মে কাজ করেন। পরিবারের নারীরা বাড়িতে বসেই সামলান ঘরকন্নার সকল কাজ। খাবারের জন্য জিয়ানোর পরিবারে প্রতিদিন প্রয়োজন হয় ২শ’ পাউন্ড চাল ও ১৩০ পাউন্ড আলু। ভ্যানে চড়ে প্রতিদিন বাজার করতে হয়। দূর হতে এলে কারও হয়তো মনে হবে, প্রতিদিনই যেনো এই বাড়িতে আয়োজন হয় বিশাল ভোজ অনুষ্ঠানের।
সবথেকে মজার বিষয় হচ্ছে পরিবারের সদস্য সংখ্যা বেশি হওয়ায় ভোটের সময় জিয়ানোর বড় পরিবারকে রীতিমতো জামাই আদরে সমীহ করে থাকেন নেতা-নেত্রীরা। জিয়ানো বলেন, ‘ভোট এলেই নেতারা গ্রামে ঢুকে সোজা আমার বাড়িতেই আগে আসেন। একসঙ্গে এতগুলো ভোট বলে কথা!’
দেখুন সেই বিশাল পরিবারের সদস্যদের ভিডিও