দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কথায় বলে শখের পাল্লা আঠানো আনা। তবে সেই শখের একটা লাগাম থাকা উচিত। যেমন লাগাম নেই এই ব্যক্তির। তিনি হাতের ভেতর কান সৃষ্টি করেছেন স্রেফ শখের বসে! এ কেমন শখ?
কথায় বলে শখের পাল্লা আঠানো আনা। তবে সেই শখের একটা লাগাম থাকা উচিত। যেমন লাগাম নেই এই ব্যক্তির। তিনি হাতের ভেতর কান সৃষ্টি করেছেন স্রেফ শখের বসে! এ কেমন শখ?
মাঝে মধ্যেই দেখা যায় মানুষের অনেক উদ্ভট ধরনের শখ জন্মে। তবে সবক্ষেত্রে এসব উদ্ভট শখ কিন্তু পূরণ হয় না। তবে এবার পূরণ হয়েছে এমন একটি উদ্ভট শখ। আর তা হলো হাতের মধ্যে কান! এক ব্যক্তি নিজের শখের মূল্য দিতে গিয়েই রীতিমতো হাতের মধ্যে জন্ম দিয়েছেন একটি কান!
সংবাদ মাধ্যম প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট টেক রাডারের উদ্বৃত করে জানিয়েছে, এই অদ্ভুত শখ নিয়ে অবশ্য গবেষণা শুরু হয় সেই ২০০৬ সাল হতে। কিন্তু অস্ট্রেলীয়ার পার্থ ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক এবং শিল্পী স্টেলার্কের প্রায় ১০ বছর সময় লেগে গেছে একটি মেডিকেল টিম খুঁজে বের করতে। যে টিম তাই এই প্রায় অসম্ভব শখ পূরণ করতে পারবেন।
চিকিৎসকরা তার শখ পূরণ করতে হাতের চামড়ার ভেতর একটি কান-আকৃতির স্ক্যাফোল্ড (যেটি কাঠের তৈরি যন্ত্র) প্রবেশ করিয়েছেন। এরপর ৬ মাস ধরে সেই কানের আশপাশে বিভিন্ন টিস্যু এবং রক্ত ধমনি সক্রিয় করেছেন। বর্তমানে এটি মোটামুটি কানের মতো দেখালেও এখনও অনেক কাজ করা বাকি রয়ে গেছে চিকিৎসকদের।
সংবাদ মাধ্যম বলেছে, স্টেলার্ক পরিকল্পনা হলো হাতে প্রতিস্থাপিত এই কানের ভেতর একটি ছোট্ট মাইক্রোফোন প্রবেশ করাবেন, যেটি ওয়্যারলেস প্রযুক্তির মাধ্যমে ইন্টারনেটের সঙ্গে সংযুক্ত থাকবে। সেটি এই কানের মাধ্যমে বিভিন্ন স্থানের শব্দ ইন্টারনেটের মাধ্যমে সরাসির শোনা যাবে। অর্থাৎ অনেকটা শব্দের পেরিস্কোপের মতোই কাজ করবে হাতে লাগানো এই বিকল্প কানটি। তবে এটি পুরোপুরি কবে নাগাদ কাজ করবে তা এখনও জানানো হয়নি। অর্থাৎ ওই ব্যক্তির শখের আনা পূরণ হতে চলেছে।
তথ্যসূত্র: matrixpraxis.wordpress.com