দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ছবি কথা বলে সে কথাটি আবারও প্রমাণ হলো। ভূমধ্যসাগরের তীরের ‘একটি শিশুর নির্মম’ ছবি প্রকাশের পর বিশ্ববাসীর সঙ্গে জার্মানী ও অস্ট্রিয়ার মানবিক দৃুষ্টিভঙ্গি সত্যিই প্রশংসাযোগ্য। অধিবাসীদের স্বাগতম জানানোর মধ্যেদিয়ে এক মানবিক আচরণ করেছে দেশ দুটি।
হাজার হাজার অধিবাসীদের তারা স্বাগত জানিয়ে বিশ্ববাসীকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। যেখানে আমরা মাত্র ক’দিন আগে মালয়েশীয়া-থাইল্যান্ডে যা দেখেছি। মাত্র ক’দিনের ব্যবধানে দেখলাম তার বিপরিত আচরণ। সাগর থেকে অসহায় অধিবাসীদের বিতাড়িত করার অমানবিক দৃশ্যগুলো আমাদের তাড়িত করবে সব সময়। কিন্তু গত দু’দিনে আমরা জার্মানী ও অস্ট্রিয়া কর্তৃপক্ষের ও সেদেশের নাগরিকদের যে আচরণ দেখলাম তাতে প্রশংসা না করে পারা যায় না।
হাঙ্গেরিতে আটকে থাকার পর হাজার হাজার অধিবাসীকে অস্ট্রিয়া ও জার্মানীতে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়। শুধু অনুমতিই নয়, এই দুটি দেশের হাজার মানুষ আবার অধিবাসীদের স্বাগত জানান। পথে পথে তাদের স্বাগত জানানো হয়।
এমন দৃশ্য দেখে সত্যিই মন ভরে যায়। যেখানে বিশ্বব্যাপি অধিবাসী প্রত্যাশিদের বিতাড়িত করা হচ্ছে, সেখানে জার্মানি ও অস্ট্রিয়া এক মানবিক আচরণের মাধ্যমে বিশ্ববাসীকে একটি নতুন বাণী (ম্যাসেজ) দিলেন। আর সেটি হলো, পৃথিবীতে মানুষ মানুষের জন্য ইচ্ছে করলেই সব কিছু করতে পারে। একজন খাবে আর একজন না খেয়ে থাকবে সেটি হতে পারেনা। একজন শান্তিতে বসবাস করবে আর আরেক জন অমানবিকভাবে পথে-প্রান্তরে ঘুরে বেড়াবে তা হতে পারে না।
সেখানে আরও একটি জিনিস দেখা গেছে, সেটি হলো সরকারিভাবে যেমন গ্রহণ করা হচ্ছে, তেমনি সাধারণ জনগণও এটিকে গ্রহণ করেছে। যেমন সেখানে প্রাইভেট কার নিয়ে শত শত মানুষ অধিবাসীদের সীমান্ত হতে নিয়ে আসতে জড়ো হচ্ছেন। সে এক অভূতপূর্ব দৃশ্য। মানুষ মানুষের জন্য এভাবে এগিয়ে আসতে পারে তা চোখে না দেখলে কেও হয়তো বিশ্বাস করতে পারতেন না।
জার্মানি ও অস্ট্রিয়াসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলোর মনোভাব পরিবর্তনের প্রধান কারণ হলো, সেই (উপরের) ‘নির্মম ছবি’। আনুমানিক ৩ বছর বয়সী শিশুটির গায়ে ছিল লাল শার্ট আর নীল প্যান্ট। আইলান নামের ওই শিশুর এমন নির্মম ছবি বিশ্ববিবেককে জাগ্রত করেছে। ভূমধ্যসাগরের তীরে শিশুটির ছবি আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ৪ সেপ্টেম্বর দি ঢাকা টাইমস্ এর একটি নির্মম ছবি এবং…. শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়।