দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মোটরসাইক্লিস্টের রাস্তা পাড়ি দেওয়ার অনেক কাহিনী আমরা দেখেছে কিন্তু তাই বলে অন্ধ ব্যক্তির মোটর সাইকেল চালানো! আজ রয়েছে এমন এক অন্ধ মোটরসাইক্লিস্টের রাস্তা পাড়ি দেওয়ার আশ্চর্য কাহিনী!
মটরসাইকেল নিয়ে প্রায় ৭শ’ কিলোমিটার রাইডের জন্য প্রস্ততি নিচ্ছেন মেক্সিকোর প্যাট্রিসিয়া রদ্রিগেজ নামে এক ব্যক্তি। তবে অন্যসব বাইকারদের সঙ্গে এই মেক্সিকানের পার্থক্য হলো, তিনি চোখে দেখতে পান না, অর্থাৎ অন্ধ। রাস্তার অন্যসব গাড়ির ইঞ্জিনের শব্দ শুনেই প্যাট্রিসিয়া রদ্রিগেজ বুঝে যান কখন কিভাবে চালাতে হবে তার মটরসাইকেল! সবসময় পিছনে হতে তাকে সাহায্য করেন স্ত্রী সারাহ পেরেজ।
সংবাদ মাধ্যমের খবরে জানা যায়, মেক্সিকোরপ্যাট্রিসিয়া রদ্রিগেজ সেই শিশুকাল হতেই অন্ধত্ব যাকে আলাদা করেছে বাকি দশজন সাধারণ মানুষ হতে। তবে নিজেকে সত্যিই অসাধারণের পর্যায়ে নিয়ে যেতে এই মেক্সিকান বেছে নিয়েছেন মটরসাইকেলের মতো একটি বাহন।
রদ্রিগেজ চোখে না দেখলেও মটরসাইকেল নিয়ে পাড়ি দিয়েছেন মাইলের পর মাইল। এবার তিনি প্রস্ততি নিচ্ছেন মেক্সিকোর গাহদালাহারা হতে সালতিলো পর্যন্ত প্রায় ৭শ’ কিলোমিটার পথ রাইডের জন্য।
তার স্ত্রী সারা পেরেজ লম্বা এই ট্যুরে গাইড হিসেবে রদ্রিগেজের সঙ্গে রয়েছেন। স্ত্রীর চোখে ভর করেই লম্বা এই পথ পাড়ি দেবেন রদ্রিগেজ। পথ চলতে কিংবা থামাতে রদ্রিগেজকে ঘাড়ে সিগন্যাল দিয়ে বুঝিয়ে দেন স্ত্রী সারাহ পেরেজ।
এই অন্ধ মটরসাইক্লিস্ট প্যাট্রিসিয়া রদ্রিগেজ সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, ‘আমি যখন হাটতাম এখানে-সেখানে ধাক্কা খেতাম, হোচটও খেতাম। এখন বাইক চালাতে এ ধরনের কোন সমস্যা হচ্ছে না। একটা পাখিকে খাচায় দীর্ঘদিন আটকে রেখে ছেড়ে দিলে যেমন করে, আমারো তেমন অনুভব হয়।’
খুব ছোট বয়সেই দৃষ্টি হারিয়েছেন রদ্রিগেজ। এখন হাটার চেয়ে মটরসাইকেল চালাতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন রদ্রিগেজ। ইঞ্জিনের শব্দ শুনেই বুঝে যান কি রয়েছে তার ডানে কিংবা বামে। অথবা কখন বাড়াতে হবে গতি আর কখন গতি কমাতে হবে। প্যাট্রিসিয়া অন্ধত্বকে জয় করেছেন তার যোগ্যতা দিয়ে। কারো দয়া নিয়ে নয় বরং নিজের অদম্য ইচ্ছাশক্তি দিয়েই এগিয়ে যেতে চান আরও বহুদূর- যতোদুর একজন সাধারণ চোখে দেখা মানুষ যেতে পারেন!
দেখুন সেই অবিশ্বাস্য ভিডিও
https://www.youtube.com/watch?v=AltVzyTkSxA