দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ল্যাপটপ কেনার সময় বেশ কিছু বিষয় আপনাকে মনে রাখতে হবে। তাহলে একটি ভালো ল্যাপটপ কেনা সম্ভব হবে। যে বিষয়গুলো মনে রাখা জরুরি সে বিষয়গুলো নিয়েই আজকের প্রতিবেদন।
আমরা অনেক সময় ল্যাপটপ কেনার মনোস্থ করার পর ঠিক করতে পারি না কি ধরনের ল্যাপটপ কেনা যায়। আর তাই সিদ্ধান্তহীনতা তৈরি হয়। আসলে ল্যাপটপ কেনার সময় কোন কোন বিষয়গুলো আমাদের মনে রাখা দরকার সেগুলো যদি জানা থাকে তাহলে খুব সহজে একটি ভালো ল্যাপটপ আমরা কিনতে পারবো। তাহলে আসুন ল্যাপটপ কেনার সময় যে বিষয়গুলো আমাদের মনে রাখতে হবে সেগুলো সম্পর্কে জেনে নিই।
আকার কেমন হওয়া উচিত:
ল্যাপটপ কেনার সময় এটি কেমন হওয়া উচিত সেটি আগে ভাবতে হবে। যেমন সাইজটি একেবারে ছোট নয়, আবার খুব ভারি বা অনেক বড় হলেও পরিবহন সমস্যা হবে। তাই এই দিকটা অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে। নোটবুক কেনার সময় নোটবুকের ওজন দেখে নেওয়া বেশি দরকার পড়ে। তবে যেকোন ল্যাপটপ যেগুলো আল্ট্রাবুক হিসেবে চিহ্নিত থাকে সেগুলো কেনাই সবচেয়ে ভালো কাজ হবে। এর কারণ হলো এটা যেমন হালকা তেমন সরু। সাধারণত যেসকল ল্যাপটপের স্ক্রিণ সাইজ ১২.৫-১৩.৩ এর মধ্যে থাকে সেগুলোর ওজন ১ হতে ১.৫ কেজির মধ্যে হয়ে থাকে।
স্ক্রিণের মান দেখুন:
ল্যাপটপের স্ক্রিণের দিকে তাকিয়ে আপনাকে কাজ করতে হয়, তাই এমন স্ক্রিণের ল্যাপটপ কেনা উচিত যাতে করে স্ক্রিণটি আপনার সঙ্গে খাপ খাইয়ে যায়। স্ক্রিণের অন্য একটি উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো এর রেজুলেশন কত তা দেখে ল্যাপটপ কেনা দরকার। এক্ষেত্রে ১৯২০x১০৮০ পিক্সেল এর স্ক্রিণ সকল কাজের জন্য একটি আদর্শ ল্যাপটপ হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকে। ল্যাপটপ কেনার সময় অবশ্যই আপনি একবার চালিয়ে দেখে নিন।
কিবোর্ডের ধরণ দেখুন:
ল্যাপটপ ক্রয়ের সময় অবশ্যই কিবোর্ডের ধরণগুলো দেখে নিন। যদিও কিবোর্ড সাধারণত একই ধরনের হয়ে থাকে। তারপরও এক এক কোম্পানির কিবোর্ড এক এক রকম হয়ে থাকে। তাই আপনি যে ধরণের কি বোর্ডের সঙ্গে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন ঠিক সে ধরনের কিবোর্ড সম্বলিত ল্যাপটপটি কিনুন। কেনার সময় অবশ্যই দেখে নেওয়া উচিত যে কিবোর্ডটিতে ব্যাকলিট রয়েছে কিনা। কারণ হলো ব্যাকলিট থাকলে অন্ধকারেও ল্যাপটপের বোতামগুলো দেখা যায়।
সিপিউ কেমন হবে:
বর্তমানে বাজারে ইন্টেলের কোর আই সিরিজের সিপিউগুলো বেশি চলছে। এর কারণ এগুলো একই সময়ে বিভিন্ন কাজ একই সঙ্গে করতে পারে। কোর আই-৭ সিপিউ সম্বলিত ল্যাপটপটি কেনা ভালো। কারণ এটি সচরাচর ব্যবহারের ক্ষেত্রে বেশ ভালো সেবা দিয়ে থাকে।
র্যাম কেমন হওয়া দরকার:
অবশ্যই ৪ জিবি অথবা তার হতে বেশি র্যামের ল্যাপটপ আপনাকে কিনতে হবে। তাহলে আপনি ল্যাপটপ স্বাচ্ছন্দ্যে এবং মসৃণ গতিতে চালাতে পারবেন।
হার্ডড্রাইভ কেমন হবে:
ল্যাপটপের হার্ডড্রাইভও বেশি দেখেই কেনা উচিত। তাতে পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় তথ্য সংরক্ষণের জন্য জায়গার অভাব হবে না। অন্তত ৭৫০ জিবি হার্ডডিস্ক স্পেস হওয়া উচিত।
ব্যাটারি কেমন হতে হবে:
ল্যাপটপের ব্যাটারির গায়ে রেটিং দেওয়া থাকে। সেটি ভালো করে দেখে ল্যাপটপের ব্যাটারি কেনা উচিত। যে সকল ব্যাটারীর গায়ে 44Wh বা 50Wh লেখা থাকে সেগুলো বেশি সময় ধরে চার্জ সংরক্ষণ করতে সমর্থ হয়।
ওয়্যারলেস কানেকশন ও ব্লূটুথ কেনো দেখবেন?
অবশ্যই ওয়াই ফাই অ্যাডাপ্টরের ক্ষমতা দেখে ল্যাপটপ কিনতে হবে। তাতে করে নির্বিঘ্নে ওয়্যারলেস নেটওয়ার্ক চালনো সম্ভব হবে। ডুয়াল ব্যান্ডের যেসকল অ্যাডাপ্টর পাওয়া যায়, সেগুলো সাধারণতভাবে অত্যন্ত ভালো মানের হয়ে থাকে। ব্লুটুথের ক্ষেত্রে এখন বাজারে ব্লুটুথ ৪.o সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য বলে বিবেচিত হয়ে থাকে।
ফুল সাইজের এসডি কার্ডের পোর্ট, ইউএসবি ৩.০ এসব জিনিসগুলোও আপনাকে দেখে নিতে হবে। তানাহলে আপনি স্বাচ্ছন্দে ল্যাপটপ ব্যবহার করতে পারবেন না। তখন ল্যাপটপ কেনার অর্থই আপনার কাছে অযথা মনে হবে। তাই বিষয়গুলো ভালো করে বুঝে নিয়ে দেখে-শুনে তবেই ল্যাপটপ কিনুন।