দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দুশ্চিন্তা এমন একটি জিনিস যা মানুষকে এক চরমতম অশান্তিতে রাখে। কিভাবে আপনি দুশ্চিন্তামুক্ত থাকবেন সে কৌশল জেনে নিন।
আমাদের জীবনে অজান্তেই দুশ্চিন্তা ভর করে। নানা কারণে দুশ্চিন্তা হতে পারে। তবে এসব দুশ্চিন্তা আমাদের চরমতম অশান্তি সৃষ্টি করে থাকে। যেকোনো বিষয় নিয়ে চিন্তা করাই যায় তবে দুশ্চিন্তা একদমই ভিন্ন একটা জিনিস। এই দুশ্চিন্তা বা মানসিক চাপমুক্ত থাকার কয়েকটি উপায় জেনে নেওয়া যাক।
# সকলকেই মানসিকভাবে সুস্থ থাকতে চাপমুক্ত থাকার অভ্যাস করতে হবে। চাপের মাত্রাটাকে কমিয়ে আনার চর্চা করুন। দীর্ঘদিন অতিরিক্ত মানসিক চাপের মধ্যে থাকার কারণে স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাক এবং মানসিক চাপজনিত অন্যান্য অসুখে বা সমস্যা সৃষ্টি হওয়ার সমূহ ঝুঁকি থেকে যায়। মানসিক চাপমুক্ত থাকতে হলে আপনাকে যোগব্যায়াম, আসন এবং মেডিটেশন করতে হবে।
# ভালো থাকার জন্য নিজের মধ্যে অনুপ্রেরণা তৈরি করুন। এরজন্য আপনি ব্যায়াম করতে পারেন। কারণ ব্যায়ামে মানসিক চাপ দূর হয় এবং মস্তিষ্কে সুরক্ষাকারী হরমোনের নিঃসরণ ঘটায়। সপ্তাহে এক দিন বাদ দিয়ে বাকি দিনগুলো আধাঘণ্টা হতে ১ ঘণ্টা ব্যায়াম করুন। তবে পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিতে হবে। তবে কখনও অতিরিক্ত ব্যায়াম করবেন না।
# সুষম খাদ্যাভাসের সঙ্গে নিয়মিত প্রতিদিন ৮/১০ কিংবা পরিশ্রম বেশি হলে ১২ হতে ১৪ গ্লাস পানি পানের অভ্যাস করুন। এতে করে আপনার শরীর হবে ঝরঝরে। সকালে ঘুম হতে উঠে ৪ হতে ৫ গ্লাস পানি পান করুন। ২ গ্লাস পানি পানের পর অন্তত আধা ঘণ্টা বিরতিতে আরও ২ গ্লাস পানি পান করুন। তারপর ঘণ্টা খানেক পর সকালের নাস্তা সারুন।
# সমাজের বা পারিপাশ্র্বিক পরিবেশের সঙ্গে নিজেকে খাপ খাইয়ে নিতে হবে। মানসিকভাবে সুস্থ থাকার খুব ভালো উপায় এটি। সামাজিক মেলামেশাটা একটি গুরুত্বপূর্ণ। গঠনমূলক কথাবার্তা বা কিছুটা বিনোদনমূলক সময় কাটানোর কারণে মস্তিষ্কের দক্ষতার চর্চা হবে- এতে করে শরীর মন কিছুটা দুশ্চিন্তামুক্ত থাকবে।
# আমরা সবাই জানি শরীর ও মনকে উদ্যম এবং শক্তি ফিরিয়ে দেয় সুনিদ্রা। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, মানুষের স্বাভাবিক শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য বজায় রাখতে রাতে ৬ হতে ৮ ঘণ্টার ঘুম অপরিহার্য। অবশ্য বয়সভেদে সেটার কিছুটা তারতম্য হতে পারে। সঠিক সময় ঘুমানোর অভ্যাস করুন এতে শরীরের দুশ্চিন্তা অনেকটা দূর হবে।
এভাবে আপনি জীবন-যাপনের নিয়মগুলো মেনে চললে এক সময় দুশ্চিন্তা আপনার ধারে কাছেও ঘেষতে পারবে না।