দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অধিবাসী প্রত্যাশীদের ঠেকাতে ঘোষণা করা হয়েছে হাঙ্গেরিতে ঢুকলেই গ্রেফতার। আর তাই আবারও কাটাতারের বেড়া টপকানো অমানবিক দৃশ্য চোখে পড়ছে।
হাঙ্গেরিতে আর যাতে কোনো শরণার্থী প্রবেশ করতে না পারে, সেজন্য জরুরি অবস্থা জারি করেছে সেদেশের পুলিশ। পুলিশকে দেওয়া হয়েছে বিশেষ ক্ষমতাও। এর প্রতিবাদে অনশন শুরু করেছেন সীমান্তের কাটাতারের বেড়া সংলগ্ন অভিবাসীরা। কাটাতারের বেড়া টপকিয়ে হাঙ্গেরীতে প্রবেশ করায় ৬০ জন অধিবাসী প্রত্যাশীকে সেদেশের পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
অন্যদিকে তুরস্ক হতে নৌকায় করে গ্রিসে যাবার পথে একটি নৌকা ডুবে অন্তত ৪ শিশুসহ ১৩ জন শরণার্থী নিহত হয়েছেন বলে সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা গেছে। তবে ওই নৌকা হতে ২০৫ জন শরণার্থীকে জীবিত উদ্ধার করে তুর্কি কোস্টগার্ড। গ্রিসের কোস দ্বীপের উদ্দেশ্যে তুরস্কের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের উপকূলীয় শহর ডাটকা হতে রওনা দিয়েছিল ওই নৌকাটি।
গ্রিসে যাবার জন্য সিরিয়া, আফগানিস্তান, পাকিস্তান এবং আফ্রিকা হতে প্রচুর মানুষ তুরস্কে যাচ্ছে। গ্রিস হতে ইইউভুক্ত কোনো দেশে প্রবেশ করাই তাদের প্রত্যাশা। সম্প্রতি তুর্কির এক সৈকতে ৩ বছর বয়সী সিরিয়ান শরণার্থী আয়লান কুর্দি শিশুর মৃতদেহ পড়ে থাকার ছবি সারাবিশ্বে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে। আয়লান তার পরিবারের সঙ্গে কোস দ্বীপে পৌঁছাতে চেয়েছিল। কিন্তু নৌকাডুবিতে এক ভাই ও মাসহ আয়লান মারা যায়। এই ঘটনায় গোটা ইউরোপ জুড়ে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। ভূমধ্যসাগর হয়ে ইউরোপে পাড়ি জমাতে চাওয়া শরণার্থীদের স্রোত এখনও অব্যাহত রয়েছে। ইউরোপিয় ইউনিয়ন কোটা ভিত্তিক শরণার্থীদের আশ্রয়ের নিয়ম বেধে দিলেও অনেক দেশ তা মানছে না। একমাত্র জার্মানী ও অস্ট্রিয়া বহু শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছে।