দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আজ পবিত্র ঈদ-উল-আযহা কোরবানির ঈদ। পশু কোরবানি দেওয়ার মধ্যদিয়ে মুসলমানদের বড় দুটি উৎসবের একটি পালিত হচ্ছে। দুই রাকাত নামাজ আদায় ও পশু কোরবানির মাধ্যমে পবিত্র দিনটির শুরু।
এদিকে পবিত্র ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি এ্যাডভোকেট মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিরোধী দলীয় নেত্রী বেগম রওশন এরশাদ পৃথক বাণী প্রদান করেছেন। এসব বাণীতে তাঁরা মুসলিম উম্মার শান্তি কামনা করেছেন।
যথাযোগ্য ধর্মীয় ভাব গাম্ভির্যের মধ্য দিয়ে সারাদেশে পবিত্র ঈদ-উল-আযহা পালিত হচ্ছে। সকালে মসজিদ ও ঈদগাহে নামাজ আদায় করে ঘরে ফিরে পশু কোরবানি করা হবে। এরপর গরীব-দুখি ও আত্মীয়-স্বজনদের কোরবানির মাংস বিতরণ শুরু হবে। আর এভাবেই এক সময় শেষ হবে আজকের এই কোরবানি ঈদের আমেজ। তবে ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী কোরবানির ঈদ আড়াই দিন পালন করা যায়। অর্থাৎ আজ, কাল এবং পরশু দুপুর পর্যন্ত কোরবানি করা যায়। তবে বেশির ভাগ মানুষ ঈদের প্রথম দিনই কোরবানি করেন। কারণ প্রথম দিনের আনন্দ অন্য দিন আর হয় না।
এই কোরবানি মহান সৃষ্টিকর্তার এক মহিমা। হযরত ইসমাইল (আঃ) নিজ পুত্রকে আল্লাহর নির্দেশে কোরবানি করতে গিয়ে সেদিন যে নজির সৃষ্টি করেছিলেন, এর পরবর্তীতে মহান রাব্বুল আলামিন পশু কোরবানির রেওয়াজ সৃষ্টি করেন। যার জন্য বিশ্বের কোটি কোটি মুসলমান ঈদ-উল-আযহার এই দিনে পশু কোরবানি করে থাকেন। গরু, খাসি, ভেড়া, উট ও দুম্বা কোরবানি করা হয়। তবে আমাদের দেশে যেহেতু উট ও দুম্বা পাওয়া প্রায় দুষ্কর তাই মূলত গরু ও খাসি কোরবানি করা হয়ে থাকে। আর এভাবে শেষ হবে কোরবানির ঈদ। দি ঢাকা টাইমস্-এর পাঠকদের পবিত্র ঈদ-উল-আযহার শুভেচ্ছা- ঈদ মোবারক।