দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মহাভারতের কথা বিশ্বের অনেকের জানা। ভারতের এই মহাভারত নিয়ে অনেক সিরিয়ালও হয়েছে। সেই ৩শ’ বছরের মহাভারত আগলে রেখেছে এক মুসলিম পরিবার।
সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, এবার লখনউয়ের এক মুসলিম পরিবারের গ্রন্থাগারে পাওয়া গেলো ৩শ’ বছরের প্রাচীন মহাভারত। হিন্দু ধর্মের পবিত্র এই মহাকাব্যটি ছিল উর্দু ভাষায়।
হঠাত্ এই প্রচারের কারণে হতভম্ব হয়ে পড়েছেন লখনউ ওল্ড সিটির কারবালা কলোনির পুরনো বাসিন্দা মঞ্জুল পরিবার। পারিবারিক গ্রন্থাগারে সংগৃহীত উর্দু ভাষার এই মহাভারত নিয়ে হইচই পড়ে যাবে, তা তিনি স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি।
বর্তমান প্রজন্মের শরিক ফরমান আখতার প্রাচীন দলিল-দস্তাবেজ ঘাঁটতে গিয়ে আচমকা মহাকাব্যের এই সংস্করণটি খুঁজে পান। জানা গেছে, ফরমানের প্রপিতামহ রায় বরেলির বাসিন্দা হাওয়ালি হুসেন নসিরবাদী নিজের বাড়িতে এই গ্রন্থাগার গড়ে তোলেন। সেখানেই ছিল এই বইটি। পারিবারিক বন্ধু ও ধর্মীয় নেতা ওয়াহিদ আব্বাস বইটি খুঁটিয়ে পড়ার পর বলেছেন, ‘এই বই আমাদের সুপ্রাচীন গঙ্গা-যমুনা পরম্পরার চিহ্ন। সেজন্য এর সংরক্ষণ জরুরি।’
তিনি জানান, মূল মহাকাব্য উর্দুতে তর্জমা করেন হাজি তালিব হুসেন এবং তাঁর বন্ধু দুর্গা প্রসাদ। এই বইটি ছাপা হয়েছে আরবি হরফে। প্রতিটি অধ্যায়ের মুখবন্ধ লেখা হয়েছিল আরবি এবং পারসিক ভাষায়। আব্বাসের ধারণা, মঞ্জুল বংশের পূর্বপুরুষ শিয়া ধর্মগুরু হযরত ইমাম আলী নকি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ধারক এবং বাহক ছিলেন। এই মহাভারত ছাড়াও মঞ্জুল পরিবারের ব্যক্তিগত গ্রন্থাগারে অন্তত ১০ হাজার বই রয়েছে। তবে বর্তমানে ৩শ’ বছরের প্রাচীন হিন্দু মহাকাব্য মহাভারত পাঠে মগ্ন ফরমানের মা শাহীন আখতার।
তিনি দাবি করেছেন যে, মহাভারত পড়ে চিন্তাধারায় উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন এসেছে। গত ৫ প্রজন্ম যাবত পরিবারের পয়া সম্পত্তি হিসাবে এই বইটি সংরক্ষিত হয়ে এসেছে।