দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ তিনি কখনই জানতেন না যে যেটি দিয়ে তিনি সুন্দর একটি ফুলদানি বানিয়েছেন সেটি আসলে একটি অবিস্ফোরিত বোমা। এমন তাজা বোমা দিয়ে ফুলদানি বানালেন ব্রিটিশ নারী।
তবে আগে না জানলেও যখন তিনি জানতে পারলেন তার প্রিয় ফুলদানিটি আসলে সক্রিয় বোমা, তখন তিনি ভয়তো পাননিই বরং যারপরণাই খুশি হন তিনি। শিহরিত হন এই ভেবে যে, বোমাটি যদি কখনও ফেটে যেতো, তখন কি হতো তার?
সংবাদ মাধ্যমকে বিষয়টি জানাতে গিয়ে বেশ পুলকিত হন দুই সন্তানের মা ক্যাথরিন রলিন্স। তিনি জানিয়েছেন, স্কুলে পড়ার সময় যখন তার বয়স ছিল মাত্র ১৫ বছর, তখন স্কুলপ্রাঙ্গণে খেলার সময় এই ধাতবপাতে মোড়ানো বস্তুটি দেখতে পান। সেটি তিনি বাড়িতে নিয়ে যান এবং পরে ফুলদানি হিসেবে ব্যবহার করতে থাকেন তিনি।
কিন্তু ঘটনাটি এতোদিন তার মাথায় না আসলেও সম্প্রতি প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় ইংল্যান্ডে জার্মানির বোমা হামলার ঘটনার ওপর একটি প্রামাণ্যচিত্র দেখেন রলিন্স। তাতে দেখা যায়, জার্মানির বোমারু বিমান ওয়েস্ট মিডল্যান্ডস অঞ্চলের ওই কভেনট্রি এলাকায় মোবা হামলা চালানো হচ্ছে। ঠিক যেখান হতে তিনি বোমাটি কুড়িয়ে পেয়েছিলেন। তখন হতেই তার মনে প্রশ্ন জাগতে থাকে, তার ঘরে রাখা ফুলদানিটি কি তাহলে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের কোনো বোমা নয়তো?
এক পর্যায়ে নিজের উৎসাহে রলিন্স পুলিশের শরণাপন্ন হন। তখন পুলিশ পরীক্ষা করে জানায়, ‘বোমাটি এখনও সক্রিয় রয়েছে। এটি বিস্ফোরিত হলে এর আশপাশের অন্তত ২০ মিটার দূরত্বে থাকা যেকোনো ব্যক্তির প্রাণ হারাতে হতো। সেইসঙ্গে রলিন্সের বাড়িও হয়তো গুঁড়িয়ে যেতো।’
বোমায় তৈরি ফুলদানিটি রলিন্সের পরিবারের সকলের কাছেই খুব পছন্দের। রলিন্স যে স্কুলে চাকরি করেন, সেই স্কুলের শিশুদের দেখাতে বোমাটি নিয়ে গিয়েছিলেন একদিন। যদি তখন সত্যিই বোমাটি বিস্ফোরিত হতো, তাহলে কী সর্বনাশই না ঘটে যেতো সেদিন!
সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়, অবশ্য পরে পুলিশ বোমাটি নিয়ে গিয়ে সেনাবাহিনীর বিস্ফোরক দলকে দিয়ে বিস্ফোরক সরিয়ে সেটি আবার রলিন্সকে ফিরিয়ে দিয়েছেন। এখন নির্ভাবনায় আবার ফুলের স্টিক সাজিয়ে পছন্দের ফুলদানি হিসেবে ঘরে সাজিয়েছেন রলিন্স। এখন এই ফুলদানিটি আবার শোভাপাচ্ছে রলিন্সের বাড়িতে।
তথ্যসূত্র: dailymail.co.uk