দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মৃত্যু মানুষের জন্য অবধারিত। এই মৃত্যু কেও ইচ্ছে করেই কামনা করেন। আবার কেও বাঁচার জন্য আকুতি করেন। এমন কত কাহিনী আমাদের চোখের সামনে দেখা যায়। সাভারের ট্র্যাজিডির শেষ দিনে এসে কুষ্টিয়ার সাহানাকে উদ্ধার করতে গিয়ে শেষ পর্যন্ত নিজেকেই প্রাণ দিতে হলো। উদ্ধারকাজে অংশগ্রহণকারী ইজাজ উদ্দিন আহম্মেদ কায়কোবাদ গতরাতে মারা গেছেন।
সাভার ট্র্যাজেডির চতুর্থ দিন খোঁজ পাওয়া যায় কুষ্টিয়ার মেয়ে সাহানার। তাকে উদ্ধারের জন্য প্রায় ২২ ঘণ্টা ধরে চলে অভিযান। কিন্তু শেষ মুহূর্তে আগুন লেগে যাওয়ায় সাহানাকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। বরং (২৮ এপ্রিল) সেই আগুনে ঝলসে যান উদ্ধারকর্মী ইজাজ উদ্দিন আহম্মেদ কায়কোবাদ। শরীরের ৬০ শতাংশ ঝলসে যায় তার। এই অবস্থায় তাকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে নেওয়া হলে অবস্থার অবনতি ঘটে। পরে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে একটি এয়ার এম্বুলেন্সে করে তাকে সিঙ্গাপুরের জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তার চিকিৎসা ও যাতায়াত খরচ সরকার বহন করে।
সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল সিঙ্গাপুরের স্থানীয় সময় রাত ১২.৪৫ মিনিটে মারা যান ইজাজ উদ্দিন আহম্মেদ কায়কোবাদ।
উল্লেখ্য, সাভারের রানা প্লাজার ভবন ধসের ঘটনার চতুর্থদিন উদ্ধারকর্মীরা একটি সুড়ঙ্গ তৈরি করলে সেখানে সাহানাসহ ৩ জন জীবিত মানুষের খোঁজ পান। প্রায় ২২ ঘণ্টা ধরে চলে চেষ্টা। কিন্তু একটি দুর্ভেদ্য সুড়ঙ্গ হওয়ায় কঠিন অবস্থায় পড়েন উদ্ধার কর্মীরা। সেখানে একটি কংক্রিটের বীমের কারণে সাহানাকে উদ্ধার করা যাচ্ছিল না। এ সময় একটি মেশিন দিয়ে ওই বীম কাটার চেষ্টা করলে আগুন লেগে যায় এবং ইজাজসহ ৪ জন আহত হন। ভারি অভিযার শুরুর পরদিন সাহানাকে উদ্ধার করা হয় তবে মৃত অবস্থায়।
(ইজাজের ছবি বাংলানিউজ২৪ডট কমের সৌজন্যে)