দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক: জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের জন্য অবশ্যই এটা একটা সুখবর যে, হাওয়াইয়ান বোর্ড অফ ল্যান্ড অ্যান্ড ন্যাচারাল রিসোর্সেস পৃথিবীর সর্ববৃহৎ টেলিস্কোপ নির্মাণের অনুমোদন দিয়েছে। এর ফলে মহাকাশে মানুষের দৃষ্টি সীমা যাবে আরো বেড়ে। ধারণা করা হচ্ছে, এই টেলিস্কোপের সাহায্যে ১৩’শ কোটি আলোক বর্ষ দূরের কোন বস্তুর ছবি তোলা যাবে। ছবিগুলো যাচাই বাছাই করে পাওয়া যেতে পারে সৃষ্টির শুরু, প্রাথমিক অবস্থার বিভিন্ন তথ্যাদি যা জানার জন্য মুখিয়ে আছেন বিজ্ঞানীরা।
যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াইতে টেলিস্কোপটি নির্মাণ করা হবে বলে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। টেলিস্কোপটির নাম রাখা হয়েছে থার্টি মিটার টেলিস্কোপ সংক্ষেপে টিএমটি। টেলিস্কোপের মূল আয়নার ব্যাস প্রায় ১০০ ফিট বা ৩০ মিটার, যা ৪৯২টি পৃথক আয়নার সমন্বয়ে তৈরি। মূল ভূমি থেকে সাড়ে ১৩ হাজার ফিট উঁচুতে হাওয়াইতে অবস্থিত মনা কিয়া আগ্নেয়গিরি চূড়ায় এটি স্থাপন করা হবে। টেলিস্কোপটি নির্মাণের পেছনে যৌথভাবে কাজ করছেন কয়েকটি দেশের বিজ্ঞানীরা। বর্তমান হাবল টেলিস্কোপ এর চেয়েও ১৪৪ গুণ আলো ধারণ করতে সক্ষম হবে টিএমটি। ফলে বহু আলোক বর্ষ দূরের গ্যালাক্সির দিকে চোখ রাখতে পারবেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা।
পরবর্তী প্রজন্মের এই টেলিস্কোপ টিএমটি’র নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ১০০ কোটি ডলার। টেলিস্কোপটির নির্মাণকাজ চলতি বছরের মধ্যেই শুরু হবে এবং আশা করা হচ্ছে ২০২১ সালে এটির ব্যবহার শুরু হবে। উল্লেখ্য বর্তমানের সবচেয়ে বড় স্পেস টেলিস্কোপ হাবল এর মেয়াদ এই বছরই শেষ হতে যাচ্ছে। হাবল টেলিস্কোপ এর বিকল্প হিসাবে শক্তিশালী আরো কয়েকটি টেলিস্কোপ নির্মাণের পরিকল্পনা আছে জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের। হাবলের বিকল্প হিসেবে ২০১৮ সালের মধ্যে স্থাপন করা হচ্ছে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি সংবলিত স্পেস টেলিস্কোপ জেমস-ওয়েব। ১৯৯৬ সালে এটি’র নির্মাণ কাজ শুরু হয়। স্পেস টেলিস্কোপ জেমস-ওয়েব এর সাথে সমন্বয় করে কাজ করবে টিএমটি।
সুত্র: দ্য টেক জার্নাল