দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ডার্ক ম্যাটার (Dark Matter) বা গুপ্ত পদার্থ হচ্ছে তাত্ত্বিক পদার্থ বিজ্ঞানের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। মহাবিশ্বের ভরের পাঁচ ভাগের চার ভাগের জন্যই দায়ী ডার্ক ম্যাটার বলে ধারণা করা হয়। জিপিএস স্যাটেলাইট মারফত ডাটা ব্যবহার করে জানা যায়, পৃথিবীকে চক্রাকারে ঘিরে রয়েছে অদ্ভুত কিছু পদার্থ যা পৃথিবীর অধিক ভরের জন্য দায়ী মনে করা হচ্ছে। সম্প্রতি এমন তথ্য জানান টেক্সাস ইউনিভার্সিটির প্রফেসর বেন হেরিস ।
জ্যোতির্বিজ্ঞান গুপ্ত পদার্থ বা অদৃশ্য পদার্থ বা তমোপদার্থ এক ধরণের অনুকল্পিত (hypothesized) পদার্থ যার প্রকৃতি এখন পর্যন্ত জানা সম্ভব হয়নি। অন্য পদার্থের সাথে এরা কেবল মহাকর্ষ বলের মাধ্যমে ক্রিয়া করে বলে ধারণা করা হয়; সে হিসেবে এদেরকে সনাক্ত করার একমাত্র উপায় এদের মহাকর্ষীয় প্রভাব। মনে করা হয়, মহাবিশ্বের মোট ভরের পাঁচ ভাগের চার ভাগের জন্যই দায়ী গুপ্ত পদার্থ। এরা তড়িচ্চুম্বকীয় তরঙ্গ (যেমন,আলো) নিঃসরণ বা শোষণ কোনটাই করে না, এমনকি এরা এসব তরঙ্গের সাথে কোন ধরণের মিথস্ক্রিয়াই করে না, তাই দূরবীণ দিয়ে এদের সরাসরি দেখার কোন উপায় নেই। ধারণা করা হয়, গুপ্ত পদার্থ মহাবিশ্বের মোট পদার্থের ৮৩% এবং মোট ভর-শক্তির ২৩%।
ডার্ক ম্যাটার দেখা না গেলেও কিংবা শতভাগ প্রতিষ্ঠিত না হলেও এই সম্পর্কিত ধারণা বিজ্ঞানী সমাজে প্রচলিত রয়েছে। এর উপর ভিত্তি করেই অনেক সূত্র তৈরি করা হয়েছে, প্রমাণ করা হয়েছে সূত্র। সম্প্রতি জিপিএস স্যাটেলাইট থেকে প্রাপ্ত তথ্যাদি নতুন ভাবনা তৈরি করেছে। বেন হেরিস পৃথিবীর অভিকর্ষীয় বলের প্রভাবে যে টান, সেই টানের পরিমাণটা কত, তা পরিমাপ করতে সক্ষম হয়েছেন। সার্বিক বিশ্লেষণ করে বলা হচ্ছে, ১৯১ কিলোমিটার পুরুত্ব এবং ৭০ হাজার কিলোমিটার বিস্তৃত একটি চক্রাকার চাকতির মতন করে ডার্ক ম্যাটার পৃথিবী ঘিরে রয়েছে, যা পৃথিবীকে অধিকতর ভারী মনে করার জন্য দায়ী।
সূর্য এবং চাঁদের মধ্যকার অভিকর্ষজ টানের সময় স্যাটেলাইট কক্ষপথ পরিবর্তন করার মাধ্যমে বেন হেরিস পরীক্ষা করার পরিকল্পনা করছেন। তার অনুসন্ধান যদি সঠিক হয়, তবে দীর্ঘদিনের রয়ে যাওয়া ডার্ক ম্যাটার সম্পর্কিত রহস্যের কুল কিনারা করা সম্ভব হবে।
তথ্যসূত্র: দি টেক জার্নাল, ডেইলি মেইল