দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ইলেট্রনিক্সের জগতে ‘গ্রাফিন’ খুবই গুরুত্বপূর্ণ পদার্থ। কিছু সীমাবদ্ধতা থাকায় এতদিন যাবত বৃহৎ পরিসরে এর ব্যবহার নিশ্চিত করা যায়নি। সম্প্রতি স্যামসং গ্রাফিন ব্যবহারে ব্যাপক সাফল্য অর্জন করে।
গ্রাফিন কর্বনের একটি যৌগ। এটি হীরার চেয়েও শক্ত। এটির পরিবাহিতা বিস্ময়কর। ২০০৪ সালে গ্রাফিন আবিষ্কৃত হয়। তখন থেকেই বিজ্ঞানীরা এটি নিয়ে গবেষণা করছে। এতদিন যাবত বড় আকারের গ্রাফিন তৈরি করা যাচ্ছিল না। যার কারণে যন্ত্রপাতিতে এর ব্যবহার হয়নি।
কোরিয়ার বিজ্ঞান মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে স্যামসাং অ্যাডভান্সড ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজি এবং সাংকুনকান বিশ্ববিদ্যালয় গ্রাফিন নিয়ে গবেষণা করছে ২০০৬ সাল থেকে। সম্প্রতি তারা একটি নতুন পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছে যার মাধ্যমে বড় আকারের গ্রাফিন তৈরি করা যাবে। আগে বড় আকারের গ্রাফিন তৈরি করা যেত তবে কিছু মূল বৈশিষ্ট্য নষ্ট হয়ে যেত। তবে স্যামসাং এর আবিষ্কৃত পদ্ধতি এর সব গুণাগুণ মোটামুটি অক্ষুণ্ণ রাখে।
এটি অনেক বড় একটি আবিষ্কার। ইলেক্ট্রনিক্সের জগতে এর ব্যবহার ক্রমান্বয়ে বাড়বে। একসময় হয়তো সব কিছু গ্রাফিন নির্ভর হয়ে যাবে। সিলিকনের উচ্চ ব্যবহারের কারণে এর আপ্রতুলতা দেখা দিয়েছে। উপরন্তু এর দামও বেড়েছে। এমতাবস্থায় গ্রাফিনের ব্যবহার সিলিকনের ব্যবহারকে হ্রাস করবে এবং ভাল একটি সমন্বয় করবে।
তবে এখন পর্যন্ত গ্রাফিনের কিছু সীমাবদ্ধতা রয়ে গেছে। স্যামসাং বলেছে তারা প্রক্রিয়াধীন অবস্থায় আছে। খুব শীঘ্রই এই সীমাবদ্ধতাগুলো কাটিয়ে উঠতে স্বক্ষম হবে। তাই খুব শীঘ্রই গ্রাফিনকে দেখা যাবে না। আর কিছুদিন অপেক্ষা করতেই হবে।
গ্রাফিনের ব্যবহার নিশ্চিত হলে পরিধানযোগ্য ইলেক্ট্রনিক্স সামগ্রী, মোবাইল প্রযুক্তি প্রভৃতিতে অভাবনীয় বিকাশ সাধিত হবে। প্রযুক্তি এগিয়ে যাবে আরো বহুদূর। তাই আরেকটু অপেক্ষায় থাকতে হবে গ্রাফিনকে স্বাগতম জানাতে।
সূত্রঃ mashable