দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এক কৃষকের শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী পোড়ানো হলো তার সারা জীবনের সঞ্চিত অর্থ। মৃত্যুর পর জীবনের সঞ্চিত কোনো কিছুই সঙ্গে নিয়ে যেতে পারে না কেও, সেটিই নিয়ম।
যতক্ষণ মানুষের বুকের ধুকপুকুনিটুকু থাকে, ঠিক ততক্ষণই মানুষের দাম থাকে। আর তখন মৃত্যু হলে তার কোনো সম্পদই তার সঙ্গে যায় না। মৃত্যুর পর জীবনের সঞ্চিত সব কিছুই রেখে যেতে হয়।
তবে এই চিরন্তন সত্যটিকেই ভুল প্রমাণ করতে চাইলেন চীনের এক ব্যক্তি। তার শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী, ওই ব্যক্তির দেহের সঙ্গে পুড়িয়ে দেওয়া হলো তাঁর সারা জীবনের সঞ্চিত অর্থ!
সংবাদ মাধ্যমের খবরে জানা যায়, জীবনের একেবারে শেষ প্রান্তে এসে নিজের পরিবারের লোকজন, বিশেষ করে তার দুই ছেলের আচরণে বীতশ্রদ্ধ হয়ে পড়েছিলেন চীনের পূর্ব জিয়াঙ্গসু এলাকার পেশায় কৃষক ‘তাও’ নামের ওই ব্যক্তি। ১০ বছর পূর্বে ছেলেদের মধ্যে জমিজমাসহ অন্যান্য সম্পত্তি ভাগ করে দিয়ে মফস্বলে একটি ছোট বাড়ি ভাড়া করে জীবন-যাপন করতেন তিনি। তার দুই ছেলে কখনও তার দেখাশোনা করতো না। বয়স হয়ে যাওয়ায় তিনি খুব একটা পরিশ্রমও করতে পারতেন না। বহুবার বলা সত্ত্বেও ছেলেরা কোনও সাহায্য করতো না তাকে। শেষবয়সে এসে বাধ্য হয়ে তিনি উইল করে যান। সেই উইলে তিনি বলে যান, তার সারা জীবনের সঞ্চিত ৩৩ হাজার মার্কিন ডলার যেনো তার মৃত্যুর পর পুড়িয়ে ফেলা হয়।
যেখানে ‘তাও’র শেষকৃত্য হয়, সেখানকারই এক কর্মী ঘটনাটি জানান সংবাদ মাধ্যমকে। তিনি জানিয়েছেন, এই ঘটনা দেখে প্রথমে তিনি হতবাক হয়েছেন। তিনি দেখেন যে, চুল্লিতে ওই ব্যক্তির শেষকৃত্যের সঙ্গে হাজার হাজার নোটও পুড়িয়ে ফেলা হয়। যেখানে ছিল ২১০,০০০ ইউয়ান বা ৩৩ হাজার মার্কিন ডলার!