দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বর্তমান বিশ্বে নিরাপদ থাকার বিষয়টি সত্যিই দুষ্পাপ্যের মতোই। হন্যে হয়ে সবাই তাইতো খোঁজেন কোথায় নিরাপদে থাকা যাবে। আজ রয়েছে বিশ্বের নিরাপদ কয়েকটি শহর নিয়ে প্রতিবেদন।
কিভাবে নিরাপদ শহর নির্ধারণ করা যাবে? এই শহরগুলি নির্বাচিত করতে ৫টি বিষয়ের উপর জোর দেওয়া হয়।
১. শহরের সার্বিক সূচক
২. ডিজিটাল সুরক্ষা
৩. স্বাস্থ্য সুরক্ষা
৪. পরিকাঠামোগত সুরক্ষা
৫. ব্যক্তিগত সুরক্ষা।
এই ৫টি বিষয়ের নিরিখে এশিয়ারই সবচেয়ে বেশি শহর রয়েছে; এর সংখ্যা মোট ২৩টি। ইউরোপে রয়েছে ১৩টি শহর। উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকা হতে স্থান পেয়েছে ১৩টি শহর। আফ্রিকা হতে প্রথম তালিকায় একমাত্র শহর হলো জোহানেসবার্গ।
এক নজরে দেখে নেওয়া যাক প্রথম ১০-এ স্থান পাওয়া শহরগুলো:
এক. টোকিও:
ইকনমিস্টের বিচারে বিশ্বের সবচেয়ে নিরাপদ শহরের তকমা পেয়েছে জাপানের টোকিও। সব প্যারামিটারে একমাত্র হিসাবে প্রথম ১০-এর মধ্যে স্থান পেয়েছে টোকিও। নাগরিকদের প্রত্যাশিত জীবতকাল এই শহরের ৮২ বছর।
দুই. সিঙ্গাপুর:
অপরদিকে ব্যক্তিগত সুরক্ষা ক্ষেত্রে এক নম্বরে রয়েছে সিঙ্গাপুর। ব্যবসার পরিবেশগত দিক হতে এক নম্বরে রয়েছে এই শহরটি। সব মিলিয়ে দ্বিতীয় স্থান করে নিয়েছে এই শহর। এই শহরের নাগরিকদের প্রত্যাশিত জীবতকাল ৮২ বছর।
তিন. ওসাকা:
ব্যক্তিগত সুরক্ষার দিক দিয়ে দুই এ এবং ডিজিটাল সুরক্ষা ক্ষেত্রে ৫ নম্বরে রয়েছে ওসাকা। সব মিলিয়ে ৩ নম্বরে স্থান করে নিয়েছে জাপানের আরেকটি শহর ওসাকা। নাগরিকদের প্রত্যাশিত জীবতকাল হলো ৮৩ বছর।
চার. স্টকহোম:
স্টকহোম হলো সুইডেনের রাজধানী। গণতান্ত্রিত সূচকের নিরিখে ১ নম্বরে রয়েছে স্টকহোম। সব মিলিয়ে ৪ নম্বরে স্থান করে নিয়েছে এই শহরটি। নাগরিকদের প্রত্যাশিত জীবতকাল হলো ৮২ বছর।
পাঁচ. আমস্টারডাম:
উত্তর আমেরিকা ও অস্ট্রেলীয়ার পর ইউরোপের ২য় শহর আমস্টারডাম। এই শহরটি প্রথম ১০-এ স্থান পেয়েছে। সুরক্ষার বিচারে বিশ্বের ৫ম নিরাপদ শহর এটি। নাগরিকদের প্রত্যাশিত জীবতকাল হলো ৭৯ বছর।
ছয়. সিডনি:
অস্ট্রেলীয়ার দ্বিতীয় শহর হিসাবে সিডনি স্থান পেয়েছে প্রথম ১০-এ । ৫টি প্যারামিটারের বিচারে ৬ নম্বরে রয়েছে এই শহরটি। নাগরিকদের প্রত্যাশিত জীবতকাল হলো ৮১ বছর।
সাত. জুরিখ:
বিশ্বের অন্যতম সুন্দর শহর হলো জুরিখ। পরিকাঠামোগত ও স্বাস্থ্য সুরক্ষার দিক হতে ১ নম্বরে রয়েছে এই শহরটি। সব বিষয় মিলিয়ে সপ্তম স্থানে রয়েছে জুরিখ শহর। এই শহরের নাগরিকদের প্রত্যাশিত জীবতকাল হলো ৮৪ বছর।
আট. টরোন্টো:
সবচেয়ে বাসযোগ্য শহরের তালিকায় উপরের দিকেই রয়েছে কানাডার অন্যতম বড় শহর টরোন্টো। ৫টি প্যারমিটারে অষ্টম স্থানে রয়েছে এই শহরটি। শহরটির নাগরিকদের জীবতকাল হলো ৮১ বছর।
নয়. মেলবোর্ন:
গত কয়েক বছর ধরেই বিশ্বের সবচেয়ে বাসযোগ্য শহরের তকমা পাচ্ছে এই মেলবোর্ন। ৫টি প্যারামিটার বিচার করে মেলবোর্ন রয়েছে ৯ নম্বরে। নাগরিকদের প্রত্যাশিত জীবতকাল হলো ৮৬ বছর।
দশ. নিউ ইয়র্ক:
অপরদিকে ১০ নম্বরে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক শহর। ডিজিটাল সুরক্ষায় ৩ নম্বরে ও স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ২ নম্বরে থাকলেও ব্যক্তিগত সুরক্ষার ক্ষেত্রে এই শহরটি ২৮ নম্বরে থাকার দরুণ সার্বিকভাবে ১০ নম্বরে স্থান পেয়েছে এই শহরটি। নিউ ইয়র্ক শহরর নাগরিকদের প্রত্যাশিত জীবতকাল হলো ৮১ বছর।
অপরদিকে অন্যান্য শহরের মধ্যে রয়েছে:
লন্ডন (১২তম স্থান)
প্যারিস (১৮তম)
মাদ্রিদ (২১তম)
রোম (২৭তম)
সাংহাই (৩০তম)
বেজিং (৩৭তম)
ব্যাঙ্ককের (৩৯তম)
শহরগুলি প্রথম ৫০-এ থাকলেও প্রথম ১০-এ জায়গা পায়নি।
শেষ পাঁচটি স্থানে রয়েছে যথাক্রমে রিয়াদ, জোহানেসবার্গ, তেহরান, হো চি মিন সিটি ও জাকার্তা। ভারত হতে মুম্বাই (৪৪তম) ও দিল্লি (৪২তম) তালিকায় স্থান করে নিয়েছে।